পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করতে জাপানে তৈরি হচ্ছে মহাকাশ শহর

Mysepik Webdesk: এবার পর্যটকদের মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এনে দিতে জাপানে তৈরি হতে চলেছে চারতলা বিশিষ্ট স্পেসপোর্ট। নলাকার স্টিল এবং কাঁচের টাওয়ারের মাধ্যমে তৈরি হতে চলেছে এই স্পেসপোর্ট। এই এলাকা থেকে সেজে দেখা যাবে শহরের উঁচু উঁচু বিল্ডিঙের ছাদ। এছাড়াও আরও ভালো করে দেখা যাবে পৃথিবীর বক্রতা, অনুভব করা যাবে শূণ্য মধ্যাকর্ষণ শক্তি। এছাড়াও এখানে থাকছে গবেষণা ও শিক্ষা একাডেমি, দোকান, সিনেমা হাল, থিয়েটার, যাদুঘর, জিম, রেস্টুরেন্ট, অ্যাকোরিয়াম এবং ডিস্কো বার।
আরও পড়ুন: ‘আমরাও ভারতে ঢুকে মেরেছি’, পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে পাক সেনার প্রশংসা পাক-মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর

স্পেসপোর্টে সাধারণ মানুষের প্রবেশ অবাধ করার উদ্দেশ্যে নইজ আর্কিটেক্ট এর অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থাপনাকে ইলেকট্রিক কার এবং স্বতন্ত্র ট্রেনের মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছেন যা মূল শহরের সাথে ভাসমান এই দ্বীপটিকে একত্রিত করেছে। নির্মাতাদের দাবি, এখানকার প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা এবং বিস্ময়কর ব্যাপারগুলোর মাধ্যমে মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে আরো আগ্রহী হবে। টোকিও স্পেসআউটের মহাকাশযানটি দেখতে অনেকটা বিমানের মতো। এটি অনুভূমিক বা সরল রেখা বরাবর অতিক্রম করবে। শুধুমাত্র মহাকাশ পর্যটনের জন্য এটি ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: আলাদিনের প্রদীপের লোভ দেখিয়ে ২.৫ কোটি টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার দুই তান্ত্রিক

জানা গিয়েছে মহাকাশযানটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়বে। সেই কারণে ভ্রমণকালে কিছুক্ষণের জন্য পর্যটকরা শূণ্য মধ্যাকর্ষণ শক্তির অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। ৯০ মিনিট ধরে ভ্রমণ করানো হবে পর্যটকদের। সংস্থার আশা করেছেন, আগামী বছরের শুরুতেই এই যান চালু করা সম্ভব হবে। যাত্রা শুরুর আগে মহাকাশ পর্যটকদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কারণ শুন্য অভিকর্ষ বলের এই ভ্রমণ মানসিক ও শারীরিকভাবে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের বিষয়।