মর্যাদার ডার্বিতে লাল হলুদকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে সবুজ মেরুন

সায়ন ঘোষ
অপ্রতিরোধ্য সবুজ মেরুন জার্সিধারীরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লাল হলুদ একাদশকে কার্যত নিয়ে ছেলেখেলা করল হাবাসের ছেলেরা। সবুজ মেরুন ঝড়ে কুপোকাত লাল হলুদ ব্রিগেড। এদিন কার্যত হাবাসের স্ট্র্যাটেজির কাছে হারল লাল হলুদ ব্রিগেড। শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে এটিকে মোহনবাগান। ৩ মিনিটের মাথায় মনবীর গোল মিস না করলে তখনই এগিয়ে যেত এটিকে মোহনবাগান। ১৪ মিনিটে তিরির লম্বা বল ধরে অভিজ্ঞ সুব্রত পালকে ডজ করে ১-০ করেন রয় কৃষ্ণা। ২৩ মিনিটে মার্সেলিনোর শট সেভ করেন সুব্রত পাল। ৩৬ মিনিটে ফের রয় কৃষ্ণার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪০ মিনিটের মাথায় রাজু গায়কোয়াড়ের লম্বা থ্রো বক্সে ঢুকলে ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন তিরি। এই সময় সন্দেশ, তিরি ও অরিন্দমের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব চোখে পড়ল। ৪১ মিনিটে ফের সুব্রত পাল সেভ করেন।
আরও পড়ুন: ৪-১ গোলে আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিল ব্রাজিল

দ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান আক্রমণের ঝড় তোলে। এই সময় ৭০ মিনিটে ড্যানি ফোকসের মিস থেকে বল ধরে রয় কৃষ্ণা ডেভিড উইলিয়ামসকে বল বাড়ান। সেখান থেকে মাপা শটে ডেভিড উইলিয়ামস ২-১ ফলাফল করেন। এরপর মার্সেলিনোর বদলে নামেন জাভি হার্নান্দেজ। ৮১ মিনিটে সার্থক গোলুই হেড মিস করেন। ৮৮ মিনিটে রয় কৃষ্ণার ক্রস থেকে ৩-১ ফলাফল করেন জাভি হার্নান্দেজ। শেষ মুহূর্তে সুব্রত পাল ফের একটি গোল সেভ না করলে ম্যাচের ফলাফল ৪-১ হতে পারত।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচের দায়িত্বে চামিন্দা ভাস

এদিন হাবাস ৪-৪-২ ছকে দল নামিয়ে দেন। গোলে অরিন্দম ভট্টাচার্য। রক্ষণে প্রীতম, সন্দেশ তিরি ও শুভাশিস। মাঝমাঠে ম্যাক হিউ, লেনি রডরিগেজ, মনবীর সিং ও ডেভিড উইলিয়ামস। আপফ্রন্টে রয় কৃষ্ণা ও মার্সেলিনো। অন্যদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গল দল নামায় ৩-৫-২ ছকে। গোলে বর্ষীয়ান সুব্রত পাল। রক্ষণে ড্যানি ফক্স, রাজু গায়কোয়াড় ও সার্থক গোলুই। মাঝমাঠে অঙ্কিত মুখার্জি, নারায়ণ দাস, জাক মাঘোমা, সৌরভ দাস, মাট্টি স্টেইনম্যান। আপফ্রন্টে ব্রাইট এনখোবার ও অ্যান্থনি পিংলিংটন।
আরও পড়ুন: আইপিএল নিলামে কে কোন দলে

শুরু থেকেই মাঝমাঠের দখল ছিল মোহনবাগানের। সৌরভ দাসকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। ব্রাইট এনখোবার সারাক্ষণ স্কিল দেখিয়ে দৌড়লেও তাকে সময়মতো বোতলবন্দি করেন প্রীতম কোটাল। ব্রাইটকে আটকানোর পরিকল্পনা এখন সব দলের কোচের কাছেই আছে। যার ফলে ব্রাইট গোল করতে ব্যর্থ। একটিমাত্র ক্ষেত্র ছাড়া সারক্ষণ এটিকে মোহনবাগান রক্ষণ দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিল। এই ম্যাচের পড় মুম্বইয়ের সঙ্গে হাবাসের দলের পয়েন্টের পার্থক্য পাঁচ পয়েন্টের হয়ে গেল। এটিকে মোহনবাগানের সামনে এখন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার হাতছানি এবং তার লক্ষ্যই ছুটছে সবুজ মেরুন বাহিনী।
Joy MOHUNBAGAN ♥️♥️♥️