উত্তরাখণ্ডে তুষার বিপর্যয়, ১৭০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

Mysepik Webdesk: ফিরল আটবছর আগের কেদারনাথের ভয়াবহ স্মৃতি। রবিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উত্তরাখণ্ডে তুষার বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের মতে, মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেঙে যায় নন্দাদেবী হিমবাহ। তার জেরেই ধৌলিগঙ্গার দু’টি নির্মীয়মাণ বাঁধে ফাটল ধরে। প্লাবিত হয় জোশীমঠ। ভয়াবহ জলের তোরে ভেসে যায় দুটি সেতু। চামোলি জেলার তপোবনে হিমবাহটি ভেঙে ঋষিগঙ্গা নদীতে আছড়ে পড়ে। এ-কারণে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং ধৌলিগঙ্গার বাঁধ ভেসে যায়। তাপোবনে একটি বেসরকারি সংস্থা এবং সরকারি সংস্থা এনটিপিসির ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছিল। এখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল। গভীর রাত্রে আবারও জলের স্তর বাড়লে নদীর তীরে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে চামোলি জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: মনবীর সিং: একটি ট্যুইট, দু’টি গোল এবং ক’টি প্রশ্ন

রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবন এলাকায় ১৭০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং তপোবনে এনটিপিসি প্রকল্পের সাইটটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এনটিপিসি প্রকল্প সাইটে দু’টি টানেল রয়েছে। প্রথম সুড়ঙ্গে আটকা পড়া ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় সুড়ঙ্গে ৩০ শ্রমিক আটকা পড়েছিলেন। রবিবার রাতে জল বাড়ার কারণে ৯০০ মিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার সকালে জলের স্তর কমার পরে এনডিআরএফ দল পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ১৮ মাস পর কাশ্মীরে ফিরল 4G পরিষেবা

রবিবার সকাল দশটায় তাপোবনে হিমবাহ ভেঙে ঋষিগঙ্গা নদীতে পড়ে যাওয়ার পরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ-কারণে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং ধৌলিগঙ্গার বাঁধটি ভেসে যায়। ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং সরকারি সংস্থা এনটিপিসির প্রকল্পটি ধ্বংস হয়ে যায়। ঋষিগঙ্গা প্রকল্পে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। এখান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এনটিপিসি প্রকল্পে দুর্ঘটনার সময় ১৭৬ জন কর্মী ডিউটিতে ছিলেন। এর মধ্যে ১৫০ জন নিখোঁজ।