বারবার পিছিয়েও জয়ী সাম্বা বয়েজরা

Mysepik Webdesk: বাইশ জোড়া পায়ের এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ প্রত্যক্ষ করল ফুটবল দুনিয়া। তবে ব্রাজিলের যেসব সর্মথক ভোরবেলা কাঁচা ঘুম থেকে উঠে ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন, তাঁদের মাঝেমধ্যেই হাড়হিম করা উত্তেজনার মধ্যে পড়তে হল। কারণ দু’বার ব্রাজিল পিছিয়ে গিয়েছিল সাম্বা দেশের ফুটবলাররা। ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটে পেরুকে এগিয়ে দেন আন্দ্রে ক্যারিল্লো। তাঁর জোরালো ভলি বাঁচাতে পারেননি ব্রাজিল গোলকিপার উইভার্টন। ২৮ মিনিটে নেইমার পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরান ব্রাজিলকে। নেইমারের জার্সি টেনে ধরে ডি বক্সের মধ্যে তাঁকে ফেলে দিয়েছিলেন পেরুর মিডফিল্ডার ইয়োশিমার ইয়োতুন। রেফারি পেনাল্টি দিতে কোনও ভুল করেননি। এই গোলের মাধ্যমে ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী রোনাল্ডোকে ছুঁয়ে ফেলেন নেইমার জুনিয়র। প্রথমার্ধ তিতের ছেলেরা শেষ করেন ১-১ অবস্থায়।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ায় উচ্চতার ম্যাচে জয়ী আর্জেন্টিনা

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ৫৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে ব্রাজিল। পেরুর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রেনাতো তাপিয়া ডি-বক্সের বাইরে একটি শট নেন, যা ডিফেন্ডার রড্রিগো কাইওরের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কিছুটা ভাগ্যের সাথ পায় পেরু। তবে পেরুর এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে থাকা ব্রাজিল ৬৪ মিনিটে সমতায় ফেরে। ব্রিটিশ ক্লাব লিভারপুলের খেলা রবার্তো ফিরমিনোর আলতো করে দেওয়া হেড পাসে সামান্য টোকায় গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান এভারটনের তারকা ফরোয়ার্ড রিচারলিশন।
আরও পড়ুন: সবুজ মেরুন ক্লাবে আসার দিন স্মরণ করে নস্টালজিক তুরসুনাভ

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। পেনাল্টি থেকে আবার গোল করেন নেইমার। এই গোলের পর রোনাল্ডোকে পিছনে ফেলেন নেইমার। এগিয়ে যায় ব্রাজিল। স্কোরলাইন হয় ৩-২। রিচারলিশনের মুখে আঘাত করে বসেন পেরু ডিফেন্ডার কার্লোস জামব্রানো। রেফারি লাল কার্ড দেখায় তাঁকে। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার জন্য লাল কার্ড দেখেন পেরুর আরও এক ফুটবলার কার্লোস কাসেদা। পেরু হয়ে যায় ৯ জন। এই সুবাদে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে নেইমার আরও একটি গোল করে নিজে হ্যাটট্রিক এবং ব্রাজিলের জয় ৪-২ গোলে নিশ্চিত করেন।