দু-দিনের মধ্যে কৃষকদের দাবি মেনে না নিলে, দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক ট্যাক্সি ইউনিয়নের

Mysepik Webdesk: কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অল ইন্ডিয়া ট্যাক্সি ইউনিয়ন তরফে মাত্র ২ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের উদ্দেশে সোমবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ট্যাক্সি সংগঠন। তারা জানান, কৃষকদের দাবি মেনে না নিলে, দেশজুড়ে ট্যাক্সি বন্ধ রাখা হবে।
আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় শহিদ CRPF জওয়ান, গুরুতর জখম ৯ কোবরা কম্যান্ডো
সোমবার সারা ভারত ট্যাক্সি সংগঠনের সভাপতি বলবন্ত সিং ভুল্লর জানান, আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে তাঁরা রয়েছেন। কৃষকদের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য তাঁরা কেন্দ্রকে দু-দিন সময় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, নয়া কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করে নিন। কর্পোরেট সেক্টরগুলি আমাদের ক্ষতি করছে।’

বলবন্ত আরও বলেন, ‘যদি কেন্দ্র এই কৃষি আইনগুলি দু-দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করে, তা হলে রাস্তা থেকে আমরা ট্যাক্সি তুলে নেব।’ সেইসঙ্গে ট্যাক্সি চালকদের উদ্দেশে তিনি অনুরোধের সুরে বলেন, ‘চালক বন্ধুদের অনুগ্রহ করে বলছি, আপনারা ৩ ডিসেম্বর থেকে ট্যাক্সি বন্ধ রাখুন।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সীমান্তে ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানের নজরদারি, বিএসএফর গুলি চলতেই পিছু হটল
পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে ব্যাপক সাড়া মিলছে। এই আন্দোলন এখন আর পঞ্জাব বা হরিয়ানার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের কৃষকরাও দল দলে শামিল হচ্ছেন। ফলে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বিরোধী জনমত জোরদার হচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি করে, ব্যারিকেড দিয়ে, কাঁটাতার বিছিয়ে, জলকামান দিয়ে, লাঠিচার্জ করে নান ভাবে কৃষকদের গতিপথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। কোনও কিছুতেই কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান থেকে বিরত করতে পারেনি পুলিশ। সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে কৃষকরা শেষ পর্যন্ত দিল্লি সীমানায় এসে উপস্থিত হন। হরিয়ানা ও দিল্লির বর্ডার সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমানায় বিগত পাঁচ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক।
কৃষকরা দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। রাস্তার ধারেই চলছে রান্না। আন্দোলনকারীরা নিজেরা খাচ্ছেন। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদেরও বসিয়ে খাওয়াচ্ছেন।