পাকিস্তানের দুর্নীতিতে অগ্নিশর্মা ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র চিন, বন্ধ হতে পারে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর

Mysepik Webdesk: পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দিতে চলেছে চিন। এশিয়া টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ইকনমিক করিডর বন্ধ করে দিতে পারে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন। ক্রমাগত কেলেঙ্কারি, ক্রমবর্ধমান ঋণ, দুর্নীতির কারণে পাকিস্তানে চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই ইকনমিক করিডর বন্ধ করে দিতে পারে বেজিং। এরফলে কার্যত চাপের মুখে ইমরান খান সরকার।
আরও পড়ুন: নতুন করোনা, বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ বন্ধ করবে জাপান

ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়া শুরুও করে দিয়েছে বেজিং বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এশিয়া টাইমস দেখাচ্ছে যে, চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর (সিপিইসি)-এর অধীনে ১২২টি প্রকল্পের মধ্যে কেবল ৩২টিই চলতি অর্থবছরের সম্পন্ন হয়েছে। যদিও কেবল পাকিস্তানই নয়, অন্যান্য দেশগুলিতেও চিনের বিআরআই লোন গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকাণ্ডের চার সন্ত্রাসীর মুক্তি, আমেরিকার রোষানলে পাকিস্তান

বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সংকলিত তথ্যে দেখা গিয়েছে যে, চিনের রাষ্ট্রায়িত ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অফ চায়নার মোট ঋণ ২০১৬ সালে ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে হ্রাস পেয়ে গত বছর মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২০ সালের হিসাব দেখা যাচ্ছে— এই পরিমাণ আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলারে।
বেজিংয়ের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হাই-প্রোফাইল দুর্নীতি কেলেঙ্কারি-সহ অন্যান্য কারণে পাকিস্তানে বড় প্রকল্পগুলি থেকে দূরে থাকতে বাধ্য করেছে চিনকে। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাও এই তথ্যের সঙ্গে একমত। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে— প্রকল্পগুলির সঙ্গে জড়িত চিনা কোম্পানিগুলি, বিশেষত বিদ্যুৎখাতে বিভিন্ন দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে বলে বেজিং রেগে আগুন পাকিস্তানের ওপর।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন চালানোর অভিযোগে কাবুলে ধৃত ১০ জন চিনা গুপ্তচর

তাছাড়াও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সুরক্ষা ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাম্প্রতিক তদন্তে বিদ্যুৎখাতে অনিয়ম পাওয়া গেছে ১.৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। উল্লেখ্য যে, সিপিসি-র সঙ্গে জড়িত ১৬ জন চৈনিক কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলি অন্যায়ভাবে ভরতুকি পাচ্ছে এবং জাতীয় কোষাগারে বিশাল আর্থিক ক্ষতি করছে। এশিয়া টাইমসের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ চিনের বৈশ্বিক ঋণদানের কৌশল পরিবর্তনের পেছনে এটি আরও একটি বড় কারণ হতে পারে।