Mysepik Webdesk: বেআইনিভাবে লাগাতার বিধ্বংসী মিসাইল পরীক্ষা করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। একাধিকবার এমনটাই দাবি করে এসেছে আমেরিকা। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের নির্দেশে দেশটির বিরুদ্ধে ‘অন্তর্ঘাত’ চলছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘে ফের উত্তর কোরিয়াকে চাপে ফেলার আরও একবার চেষ্টা করে আমেরিকা। কিন্তু, আমেরিকার সেই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে চিন-রাশিয়ার মতো দেশগুলি। আমেরিকা নয়, বরং উত্তর কোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: পাঁচ জোড়া যমজ সন্তান প্রসব করলেন সৌদি মহিলা!
আমেরিকার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে চলতি মাসেই একের পর এক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়ে নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে কিম জং উনের ফৌজ। উত্তর কোরিয়ার এই অতিসক্রিয়তায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই প্রতিবেশী দেশ। বিষয়টি উত্থাপন করা হয় রাষ্ট্রসংঘে। কয়েকঘণ্টা ধরে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী পদক্ষেপের নিন্দা করার দাবি জানান রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত আমেরিকার দূত লিন্ডা থমাস। পিয়ংইয়ংয়ের উপর আরও কড়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব দেয় ওয়াশিংটন। সেই প্রস্তাবের তীব্র আপত্তি জানায় নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য চিন ও রাশিয়া।
আরও পড়ুন: মাস্ক-ভ্যাকসিন জরুরি নয়, করোনাকে সাধারণ ‘ফ্লু’ হিসেবে গণ্য করতে চায় ইউরোপের দেশগুলি
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও কিম জং উনের দেশটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। সেই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ উত্তর কোরিয়ান নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। গত ১২ জানুয়ারী আমেরিকার ট্রেজারি দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অভিযুক্ত ৫ ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ায় গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সরঞ্জাম সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত। ট্রেজারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি প্রতিরোধের জন্য আমেরিকা দিনের পর দিন যেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই প্রচেষ্টাকে কোনওভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। সেই কারণেই আমেরিকার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া অবৈধভাবে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে আমেরিকা।”