ভোপালে বাড়ছে করোনা: ফের তৈরি হচ্ছে কনটেনমেন্ট জোন, বন্ধ অবাধ যাতায়াত, আজ রাত ৮টার পর বন্ধ বাজার

Mysepik Webdesk: ভোপালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে প্রশাসন আবারও কঠোর হতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দু’দিন আগে ভোপালে নাইট কারফিউ আরোপের নির্দেশ জারি করেছিল। এরপরে ভোপাল কালেক্টর অবিনাশ লাভানিয়া এখন এই বিষয়ে ১৪৪ ধারা অনুসারে একটি নতুন গাইডলাইন জারি করেছেন। এটিতে বলা হয়েছে যে, করোনার কেসগুলি বাড়লে অঞ্চলগুলিতে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হবে। সেক্ষেত্রে আবারও মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হবে, যাতে সংক্রমণ রোধ করা যায়। তাছাড়াও সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মসূচিতে সব ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান— এই তিন বিভাগের কার্যক্রমের আয়োজন বন্ধ জায়গাগুলিতে সাম্প্রতিক ক্ষমতার ৫০%, তবে ১০০ জনের বেশি জমায়েত সেখানে হওয়া চলবে না। কার্যক্রমের খবর আগে প্রশাসনের কাছে জানাতে হবে। আবার উন্মুক্ত জায়গায় সর্বাধিক ২০০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কার্যক্রমের পূর্ব বিজ্ঞপ্তি আগে দিতে হবে। কার্যক্রম আয়োজিত হবে যেখানে, সেখানে কোভিড-১৯’এর প্রোটোকল অনুযায়ী থাকবে ফেস মাস্ক, স্যানিটাইজার, শারীরিক দূরত্ব এবং থার্মাল স্ক্রিনিং অনুসরণ করার যাবতীয় ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: বিকানেরে নাইট কারফিউতেও খোলা দোকান, বন্ধ করল তৎপর প্রশাসন

নির্দেশিকা
১. নগরীর সমস্ত দোকান, অফিস, বাজার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সকাল ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বন্ধ থাকবে।
২. সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট, হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল শপগুলি তাদের পূর্ব নির্ধারিত সময়ের জন্য খোলা থাকবে।
৩. রেস্তোরাঁ, রেস্তোরাঁ এবং ক্যাটারিং-সম্পর্কিত দোকানগুলি কোভিড-১৯’এর প্রোটোকলের শর্তাবলি অনুযায়ী রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে।
৪. সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয়— এই তিন বিভাগের কর্মসূচিতে ‘বারাত’ ব্যতীত অন্যান্য সকল ধরনের সমাবেশ, যাত্রা, কিংবা র্যালি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে। কেবলমাত্র একটি বৈবাহিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০টি ‘বারাতি’ থাকতে পারবেন।
৫. শর্তসাপেক্ষে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিবাহ-সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। অন্যদিকে, বিবাহের অনুষ্ঠান সর্বাধিক ৩০ জন ব্যক্তি নিয়ে রাত ১০টার পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
৬. বিবাহের অনুষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী, মজুর, ক্যাটারার ইত্যাদি তাঁদের ক্রিয়াকলাপের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা মেনেই করতে পারবেন।
ভোপাল শহর বা জেলার যে অঞ্চলগুলিতে করোনা রোগীদের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে, সেই অঞ্চলগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হতে পারে। সেখানে যাতায়াতও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।