Mysepik Webdesk: শীতের শুরুতেই ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। দক্ষিণ থাইল্যান্ডে উৎপত্তি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ শনিবার উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা বাংলা লাগোয়া ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে। এর অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে সৌদি আরব। ‘জাওয়াদ’ -এর আক্ষরিক অর্থ ‘উদার’ বা ‘মহান’। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলায়।
ঘূর্ণিঝড়ের উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ‘জাওয়াদ’ বড়োসড়ো নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ দক্ষিণে সরবে এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেটি তার শক্তি বাড়িয়ে আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে এবং ক্রমাগত আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: মা ও দুই শিশু কণ্যা সন্তানের আগুন পুড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু কান্দির গাঁতলায়
আরও পড়ুন:
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ‘জাওয়াদ’ ঘূর্ণিঝড় উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়লেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বাংলায়। শুক্রবার থেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করবে আবহাওয়ার। বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টি বাড়বে শনিবার থেকে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, ও ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ নদিয়া, হুগলিতেও। রবিবারও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। আগামী সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।