শুক্রগ্রহে কী প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? জানা যাবে চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকা গ্রহাণু পরীক্ষা করেই

Mysepik Webdesk: সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় গ্রহ শুক্র আর পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ, এই দুয়ের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩৮ মিলিয়ন কিলোমিটার। সেক্ষেত্রে কোনও মহাজাগতিক সংঘর্ষের ফলে শুক্র গ্রহ থেকে কোনও গ্রহাণু ছিটকে এসে চাঁদের মাটিতে পড়ার ঘটনা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হতেই পারে। কিন্তু ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্যামুয়েল ক্যাবট ও গ্রেগরি লাফলিনের কথায়, মহাজাগতিক সংঘর্ষের ফলে এই ধরণের ঘটনা ঘটার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকা শুক্রের গ্রহাণু বিশ্লেষণ করে জানা সম্ভব শুক্রগ্রহে আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা।
আরও পড়ুন: আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়েছে? জানিয়ে দেবে গুগল
কিছুদিন আগে ‘লুনার এক্সপ্লোরেশন অ্যাজ এ প্রোব অফ এনসায়েন্ট ভেনাস’ (Lunar Exploration as a Probe of Ancient Venus) নামে একটি জার্নালে ক্যাবট ও লাফলিনের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাঁদের মতে, কোনও না কোনও সময় শুক্রের উপর কোনও ধূমকেতু এসে পড়ার ফলে গ্রহটির পৃষ্ঠতল থেকে ১০ বিলিয়নেরও বেশি পাথর বা মাটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে সেগুলি পরে শুক্রের কক্ষপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে গিয়ে সেই ভাসমান অবশিষ্ট অংশগুলি চাঁদের অভিকর্ষ বলের জেরে চাঁদের মাটিতে গিয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: মহাকাশে নতুন ‘টয়লেট’ পাঠাচ্ছে নাসা
তাঁরা জানিয়েছেন, ওই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীতেও এসে পড়তে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে সেগুলি বহুকাল আগেই মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকবে। অথচ চাঁদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটবে না। চন্দ্রপৃষ্ঠে সেগুলি অক্ষতই থাকবে। সুতরাং শুক্রগ্রহ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গেলে আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে পড়ে থাকা শুক্রের গ্রহাণুগুলির পরীক্ষা করা উচিত।
আরও পড়ুন: মোবাইলের স্ক্রিন ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে নতুন প্রযুক্তি আনছে অ্যাপল
বিজ্ঞানীদের ধারণা, আজ থেকে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন বছর আগে শুক্রগ্রহে জলের অস্তিত্ব ছিল। কারণ এই গ্রহে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন। শুক্রের বায়ুমণ্ডলে রয়েছে এই গ্যাস। আর এই কারণেই বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোনও না কোনও সময় হয়তো শুক্রে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিংবা আগামী দিনে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো এই গ্রহ জীবের বাস যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। সেই কারণে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা শুক্রগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।