নদিয়ার শান্তিপুরে বাড়ির ছাদে মিশরীয় ডুমুর চাষ

নাদিয়া, ৯ অক্টোবর: শান্তিপুর পৌরসভার অন্তর্গত ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় অধ্যাপক ডক্টর সোমনাথ কর তার বাড়ির ছাদটি বিদেশী গাছের সম্ভার বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি পেশায় অধ্যাপক হলেও বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো তাঁর নেশা। তিনি এই কাজটি খুব ভালোবাসার সঙ্গে করেন। বর্তমানে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় অনেকটা সময় ধরে তিনি তাঁর এই প্রিয় গাছেগুলোর দেখাশোনা করেন। বাকি সময়ে তিনি সকালে কিংবা রাতে এই কাজ করেন।
আরও পড়ুন: নারকেল গাছের পরিত্যক্ত অংশ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা গড়লেন রানাঘাট কুপার্সের যুবক
তিনি বাড়ির ছাদে দেশ-বিদেশের একাধিক ফলের গাছ লাগিয়ে বাগান বানিয়ে ফেলেছেন। মিশরীয় ডুমুরের গাছের সঙ্গে সঙ্গে ১০ প্রজাতির মালটা ফল, থাইল্যান্ডের বাতাবি লেবু, সবেদা ও বেল, ভিয়েতনামের কাঁঠাল, বিভিন্ন প্রজাতির কুল, পেয়ারা, আপেল, জামরুল, ব্ল্যাক পেয়ারা, মিষ্টি তেতুল, আমলকি, স্টার ফ্রুট, ড্রাগন ফুট, মিরাকল ফ্রুট, চেরি ফলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ তার ছাদে নিজের সন্তানের মত যত্ন করে বড় করে তুলেছেন।
আরও পড়ুন: কাটোয়ার মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সোমনাথ কর জানান, মূলত এই যে মিশরীয় ডুমুর আমাদের ভারতবর্ষে আগে সে ভাবে দেখা যেত না, কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু চাষ দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে এই ডুমুরের উৎপাদন খুবই কম হওয়ার কারণে এর মূল্য বাজার অনেক বেশি। আমি আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে এই ডুমুরের চারা সংগ্রহ করি। তারপর সেটি আমার বাড়ির ছাদ বাগানে টবে লাগাই খুবই যত্নের সঙ্গে।
গাছটি এখন ফল দেওয়ার পাশাপাশি ফল পাকা ও শুরু করেছে। এই ফল মূলত কঠিন থেকে কঠিনতম রোগ নিরাময় সাধন করে। কিন্তু ফলটি সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। যার কারণে বাজারে এই ডুমুর পাওয়া প্রায় যায় না। আর দেশীয় ডুমুরের সাথে এই মিশরীয় ডুমুর এর কোন সম্পর্ক নেই, এই ডুমুর সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতির একটি ফল।