কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা, বাড়ছে ক্ষোভ

Mysepik Webdesk: এই নিয়ে বুধবার পর্যন্ত একটানা সাতদিন ধরে চলছে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের আন্দোলন। শুধু তাই নয়, দিল্লি চলো অভিযানে সাড়া দিয়ে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের কৃষকরাও শামিল হয়েছেন সেই আন্দোলনে। দিল্লির বিভিন্ন বর্ডারে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এর ফলে বেজায় বিপাকে পড়েন দিল্লিবাসী। দিল্লি-নয়ডা বর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ওপর চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-সহ একাধিক দাবি আদায়ে কৃষকরা অনড়। বিক্ষোভ এলাকায় চলছে পুলিশের নজরদারি।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসতে পারেন বরিস জনসন

আন্দোলনরত কৃষকরা ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন, কোনও রকম চাপের মুখে তাঁরা মাথা নোয়াবেন না। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে। বুধবার তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন ওঠার কোনও প্রশ্নই নেই। উল্টে কৃষকদের আর্জি, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হোক। কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে দিল্লি বর্ডারের পাশাপাশি তাঁরা দিল্লির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও তাঁরা অবরোধ করবেন।
আরও পড়ুন: দু-দিনের মধ্যে কৃষকদের দাবি মেনে না নিলে, দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক ট্যাক্সি ইউনিয়নের

ইতিমধ্যেই এই সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজতে মঙ্গলবার কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তবে সেই বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র উঠে আসেনি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর প্যানেল তৈরির প্রস্তাব কৃষক নেতারা পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করেন। বুধবার অমিত শাহের সরকারি বাসভবনের ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও।