রাজ্যে দুর্গাপুজো সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায়কে পুনর্বিবেচনা করতে ফের আদালতে যাচ্ছে ফোরাম ফর শারদোৎসব

Mysepik Webdesk: ছোট হোক, কিংবা বড়, রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলই থাকতে হবে ‘নো এন্ট্রি বাফার জোন’, প্যান্ডেল এরিয়ায় ব্যারিকেট দিয়ে করা থাকবে ওই বিশেষ জোন। সকলের যাতে নজর পরে সেরকম ভাবেই বড় বড় করে লিখে রাখতে হবে ‘নো এন্ট্রি জোন’। পাশাপাশি মন্ডপে একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি পুজো উদ্যোক্তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটারের মধ্যে এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও আগে থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের নামের তালিকা জমা দিতে হবে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অনুদানের হলফনামা দিতে হবে। সোমবার পুজোর ভিড় নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় এমনটাই রায় দিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য
আদালতের এই রায়ের পুনর্বিবেচনা করতে ফের আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে চলেছে ফোরাম ফর শারদোৎসব। ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের এই রায়ে হতবাক রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটি। তাদের দাবি, দর্শনার্থীরা যদি ঠিকমতো প্রতিমা দর্শন নাই করতে পারল, তাহলে এতো আয়োজনের কী লাভ। অন্যদিকে আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি। উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, বেহালার দেবদারু ফটক পুজো কমিটির পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দর্শকহীনভাবেই তারা এ বছর পুজো করতে চলেছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের সবকটি পুজো প্যান্ডেলেই থাকতে হবে ‘নো এন্ট্রি বাফার জোন’, জনস্বার্থ মামলায় রায় হাইকোর্টের
তবে, হাইকোর্টে ফোরাম ফর শারদোৎসব ঠিক কী কী বিষয় তুলে ধরতে চলেছে, তা নিয়ে এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি। কমিটির বক্তব্য, এ বিষয়ে যা বলার, তা মঙ্গলবার আদালতেই বলা হবে। এদিকে রাজ্য সরকারের তরফেও আদালতের রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। যদিও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব পুজো নিয়ে আদালতের রায়ের বিষয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর সঙ্গে।