মঙ্গলে হেলিকপ্টার: নেপথ্যে বাঙালি

Mysepik Webdesk: পৃথিবীর আকাশে নয়, এবার হেলিকপ্টার উড়বে মঙ্গল গ্রহের আকাশেও। এই অসম্ভবকে সম্ভব করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চলেছেন দুই বাঙালি-সহ তিন ভারতীয়। আজ থেকে আর মাত্র ১৯ দিন পর ‘লাল সভ্যতা’য় উড়বে হেলিকপ্টার। ইনজেনুটি নামক হেলিকপ্টার প্রথম উড়তে চলেছে মঙ্গল গ্রহে। উল্লেখ্য এর প্রধান কর্ণধার চিফ ইঞ্জিনিয়ার জে বব বলরাম। বলরামের সঙ্গে এই প্রকল্পে নাম রয়েছে দই বঙ্গসন্তানের। তাঁরা যথাক্রমে বিজ্ঞানী অনুভব দত্ত এবং সৌম্য দত্ত।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ধ্বংস করবে বাঙালি বিজ্ঞানী স্বপন কুমার ঘোষের বিরল আবিষ্কার

অনুভব দত্ত মহিষাদলের বাসিন্দা। অন্যদিকে, বর্ধমানের বাসিন্দা হলেন সৌম্য দত্ত। আর এই অনুভব মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এয়ারোডায়নামিকস এবং এয়ারোইলেকট্রিসিটি বিভাগের অধ্যাপক। অনুভব ওরফে মহিষাদলের ‘ফড়িং’ প্রায় তিরিশ বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর আরও একটা পরিচয় হল, উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ স্থান পেয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, সৌম্য দত্ত ভার্জিনিয়ায় নাসার ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়র।
আরও পড়ুন: ২০২০-র দশটি অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার

মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছেছিল মঙ্গলযান। সেই মঙ্গলযান থেকে নিরাপদে নামার জন্য নির্মিত হয়েছে বিশাল প্যারাসুট। ১৮ ফেব্রুয়ারি লালগ্রহের মাটি ছোঁবে নাসার ল্যান্ডার। এরপরই ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার ‘পারসিভের্যান্স’। আর আকাশে উড়বে প্যারাসুট, নাম ‘ইনজেনুইটি’। এর ওজন ১.৮ কিলোগ্রাম বা ৪ পাউন্ড। হেলিকপ্টারের মাথার উপরে দুটি ব্লেড রয়েছে। প্রত্যেকটি ব্লেডের ব্যাস ৪ ফুট। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, গত ৩০ জুলাই রোভার পৃথিবী থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। আর এই হেলিকপ্টার যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, তিনি জে বব বলরাম। বেঙ্গালুরুতে জন্মানো এই বলরাম নাসায় যোগ দিয়েছিলেন ৩৬ বছর আগে।
গর্বিত।