হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জিতে মহারণে দিল্লির মুখোমুখি হায়দরাবাদ

Mysepik Webdesk: শুক্রবার শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে আইপিএলের ১৩তম আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ওয়ার্নার চলতি আইপিএলে ১১ বার টস জিতেছেন। এর আগে রোহিত শর্মা ২০১৭ এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০১৮ সালে এই কীর্তি করেছিলেন এবং মজার বিষয় হল তাঁরা দু’জনই সে-বছর আইপিএল শিরোপা জিতেছিল।
আরও পড়ুন: মুস্তাক আহমেদের জায়গায় হকি ইন্ডিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট জ্ঞানেন্দ্র নিঙ্গোবাম

এই ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এই ম্যাচে পরাজয় তাদেরকে লিগ থেকে ছিটকে দেবে। ওয়ার্নার তাঁর দলে পরিবর্তন একটি পরিবর্তন করেছেন। ঋদ্ধিমান সাহা চোটের কারণে খেলতে পারেননি এই ম্যাচে। তাঁর বদলে দলে জায়গা পেয়েছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী। অন্যদিকে, তিনটি পরিবর্তন করেছেন কোহলি। ক্রিস মরিস চোটের কারণে খেলেননি। এ ছাড়া জোসুয়া ফিলিপ এবং শাহবাজ আহমেদও ছিলেন না কোহলি ব্রিগেডে। এই তিনজনের বদলে দলে ফিরেছেন অ্যারন ফিঞ্চ, অ্যাডাম জাম্পা এবং নবদীপ সাইনি।
আরও পড়ুন: বিরাটদের সঙ্গে বাক্যুদ্ধে না যাওয়ার পরামর্শ স্টিভ ওয়ার

আবু ধাবিতে এবি ডি ভিলিয়ার্স বেঙ্গালুরুকে সম্মানজনক স্কোরের দিকে নিয়ে যায়। তারা ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩১ রান তোলে। লিগে ৩৮তম ফিফটি করেন ডি ভিলিয়ার্স। তাঁর ৪৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংসটি ছিল পাঁচটি চার দিয়ে সাজানো। অ্যারন ফিঞ্চ ৩২ রান করেন। হায়দরাবাদের পক্ষে জেসন হোল্ডার ৩টি, টি নটরাজন ২টি এবং শাহবাজ নাদিম একটি উইকেট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুঁচকিতে চোট বোল্টের, রোহিতের আশা ফাইনালের আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন কিউয়ি পেসার

জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে কটবিহাইন্ড হন। এর পরে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ১৭ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মহম্মদ সিরাজ নেন দু’টি উইকেট।
আরও পড়ুন: রিপোর্ট নেগেটিভ, জার্মানি থেকে দেশে ফিরলেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকারা

একসময় হায়দরাবাদের স্কোর ৬৭/৪ হয়ে যায়। বোঝাই যাচ্ছিল যে, ম্যাচ হয়তো হাড্ডাহাড্ডি জায়গায় যেতে চলেছে। ক্রিজে আসেন কেন উইলিয়ামসন। মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। কারণ হায়দরাবাদকে জিততে গেলে তাঁর ক্রিজে থাকা সবথেকে জরুরি ছিল। উইলিয়ামসনকে সুন্দর দিচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা জেসন হোল্ডার।

১৭ ওভারে নবদীপ সাইনির দ্বিতীয় বল উইলিয়ামসনের একটি অনসাইড ফ্লিক ছক্কা হতেও হতেও হয় না। সৌজন্যে দেবদূত পাড়িক্কল। অসাধারণ দক্ষতায় পুরুত্বপূর্ণ পাঁচ রান বাঁচালেও ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন তিনি। জীবন ফিরে পান উইলিয়ামসন।

কিউয়ি-ক্যারিবিয়ান জুটির সহায়তায় ম্যাচ জয়ের অনেক কাছে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স। শেষ ওভারে হায়দরাবাদের জেতার জন্য দরকার থাকে ৯ রান। শেষ ওভারে বল হাতে আসেন নবদীপ সাইনি। শেষ ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ৫০ পূর্ণ করেন উইলিয়ামসন। তৃতীয় বলে চার মারেন হোল্ডার। ৩ বলে দরকার তখন ৪ রান। এরপরের বলেও চার মেরে ম্যাচ জিতেয়ে দেন ক্যারিবিয়ান তারকা। চোকার্স তকমা ঘুচল না ব্যাঙ্গালোরের। উইলিয়ামসন এবং হোল্ডার করেন যথাক্রমে ৫০ ও ২৪ রান। এই দুই ব্যাটসম্যান ষষ্ঠ উইকেটে জুটিতে তোলেন ৬৫ রান। হায়দরাবাদ এবার দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নামবে।
ছবি সৌজন্য আইপিএল