Mysepik Webdesk: সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বাবুলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। তৃণমূলের যোগ দেওয়ার পরেই বাবুল সুপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হন। তিনি জানান, “বাংলার কাজ করতেই আমার রাজনীতিতে ফেরা। রাজনীতি ছাড়ার কথা আমি মন থেকেই বলেছিলাম। শেষ ৪ দিনেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। এত ভালো সুযোগ পাব ভাবিনি। তাই আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। সিদ্ধান্ত বদলের জন্য আমি গর্বিত সোমবারই মমতার সঙ্গে দেখা করব।”
আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগদান করলেন বাবুল সুপ্রিয়
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে তিনি প্রথম রাজনীতিতে আসেন। সেই সময় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন এবং সিপিআইএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন তিনি। ভোটে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। ফের ২০১৯ সালে তিনি তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে হারিয়ে জয়ী হন। টানা সাত বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে কিছুদিন আগে থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল হওয়ায় মন্ত্রিসভায় আর তাঁর ঠাঁই হয়নি। তখন থেকেই দিল্লির সঙ্গে তাঁর একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মোর্চার কোনও অস্তিত্ব নেই, ভোট শেষ মোর্চাও শেষ: সীতারাম ইয়েচুরি
তার কিছুদিন পরেই তিনি রাজনীতি ছেড়ে আবার গানের জগতে ফিরে যাবেন বলে ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাছাড়া বাবুলের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটা ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা অনেকেরই জানা। এমনকি একাধিকবার বাবুল প্রকাশ্যেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সম্প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয়র নাম ভবানীপুরে স্টার ক্যাম্পেইনারের তালিকাতেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে এদিন তৃণমূলেই যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়, যা স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে বড়োসড়ো ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।