বঞ্চনার ক্যাচ তালুবন্দি করার লড়াইয়ে ঋদ্ধিমান

ইন্দ্রজিৎ মেঘ
“কন্কনে শীত তাই/ চাই তার দস্তানা;/ বাজার ঘুরিয়ে দেখে,/ জিনিসটা সস্তা না…” জিনিসটা যে সস্তা নয়, তা ক্রমেই মালুম হচ্ছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে। সিডনিতে জমে উঠেছে ভারত অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট। আজ সকালেই দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে ‘পরিবর্ত’ ঋদ্ধিমান সাহা সুপারম্যানের মতো ক্যাচ ধরলেন। অপ্রিয় প্রশ্নটা মাথার মধ্যে আবার কিলবিল করে উঠল, তবু কেন ঋদ্ধিমান পরিবর্ত? এই টেস্টেই অভিষেক ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার উইল পুকোভস্কির। নবাগত এই পুকোভস্কি প্রথম ইনিংসে দু’বার জীবন ফিরে পেয়েছিলেন― সৌজন্যে ঋষভ পন্থ। প্রথম ক্ষেত্রে বোলার ছিলেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বল হাতে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। পুকোভস্কি যখন ২৬ রানে, অশ্বিনের বল ব্যাটের কানায় লাগে তাঁর। পুকোভস্কিকে আউট করার সুযোগ চলে আসে টিম ইন্ডিয়ার সামনে। কিন্তু সঠিক রিফ্লেক্সের অভাবে সুযোগ খোয়ান পন্থ। রূড়কীর এই তরুণের ঘাড় সঠিক সময়ে নামেনি। তাই উইকেটরক্ষকের রেগুলেশন ক্যাচও পন্থের দস্তানা-বন্দি হয়নি।
আরও পড়ুন: শীতের সকালে ৩৬-এর বিভীষিকায় ‘৪২-এর গ্রীষ্ম’ মনে পড়ে গেল

এই ক্যাচ ফসকানোর তিন ওভারের মধ্যেই আবার সুযোগ আসে টিম ইন্ডিয়ার সামনে। ব্যাটসম্যান এক্ষেত্রেও পুকোভস্কি। সেই সময় তিনি ৩২ রানে ব্যাট করছেন। সিরাজের বলে আবারও ক্যাচ ফসকান উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো ঋষভ। শেষমেশ এই দুই ক্যাচ মিস ভারতের কাছে ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়েছিল। পুকোভস্কি করেন ৬২। পন্থ যদি ক্যাচ ধরতে পারতেন, তবে বৃষ্টিবিঘ্নত প্রথম দিনে মাত্র দু’টি উইকেট নয়, অস্ট্রেলিয়া অন্তত আরও একটা উইকেট হারাতে পারত।
অস্ট্রেলিয়া ৩৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছতেও পারত না সেক্ষেত্রে। এই ম্যাচেই সিরিজে প্রথমবার নেমেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় প্যাভিলিয়ন ফিরে গেলেও সেই বেনিফিট নিতে পারেনি রাহানের ভারত। ঋষভ পন্থের দু’টো ক্যাচ মিসের সৌজন্যে পুকোভস্কি ও লাবুশানে শতরানের জুটিও গড়েন। পন্থের উইকেটরক্ষণের কৌশল যে আদৌ টেস্ট ক্রিকেটের উপযুক্ত নয়, তা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। যখনই তাকে স্টাম্প পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি দলকে হতাশ করেননি, এমন ঘটনা খুব কমই ঘটেছিল। তা সত্ত্বেও তিনি খেলে চলেছেন একের পর এক টেস্ট।
আরও পড়ুন: এক কিতাব এক নবাব

‘ক্রিকভিজ’ প্রকাশিত সাম্প্রতিক ফিল্ডিং মেট্রিক্সে উইকেট-রক্ষক হিসাবে পন্থের রেকর্ডটি ২০১৮ সালে অভিষেকের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ। অন্য যেকোনও উইকেটকিপারের চেয়ে বেশি ক্যাচ ফেলেছেন তিনি। তবে ঋষভের পক্ষে ঢাল হল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সিডনিতে করা ১৫৯ রান। কিন্তু এরপরও উইকেটের পিছনে যেভাবে তিনি একের পর এক ভুল করে চলেছেন, তা দিয়ে সহানুভূতিও বেশিক্ষণ আদায় করা যায় না।
আর অন্যদিকে দেখুন, তাঁর উইকেটকিপিংয়ে রয়েছে উন্নততর টেকনিক। তিনি ঋদ্ধিমান সাহা। স্পিনারদের বিরুদ্ধে টার্নিং পিচে অনবদ্য দক্ষতায় গ্লাভওয়ার্কের কারণে সবসময়ই ভারতীয় পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকার পান তিনিই। তবে দল যখন বিদেশে খেলে ‘ব্যাটসম্যান’ হিসাবে অগ্রাধিকার পান পন্থ। এর পিছনে যুক্তি হল, পন্থ উইকেটরক্ষার পাশাপাশি ব্যাটটাও করে দিতে পারেন। তাছাড়াও বিদেশের মাটিতে বল মাটিতে পড়ে ভালো গতিতেই ব্যাটে আসে। সেক্ষেত্রে উইকেটের পিছনে ভালোই সামাল দেবে পন্থ। কিন্তু যুক্তিটা এখানেই অদ্ভুত যে, বাউন্সি পিচে কি তবে সমান দক্ষতার প্রয়োজন হয় না? যদি না প্রয়োজন হয়, তাহলে পন্থ এত ক্যাচ ফসকান কীভাবে?
২০২০-২১ সফরের শুরুতে ঋদ্ধিমানকে অ্যাডিলেড ডে-নাইট টেস্টে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে তাঁর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছিল। তবে এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে যায় কোহলির ভারত। এই পর্বে ভারতের এগারো ব্যাটসম্যানের রানগুলো সাজিয়ে দিলে দাঁড়ায়― ৪ ৯ ২ ০ ৪ ০ ৮ ৪ ০ ৪ ১। ঋদ্ধিমান করেছিলেন চার। গোটা টিমের অন্য ব্যাটসম্যানদের মতো ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনিও। তবে এর পরের বক্সিং ডে টেস্টে কোপ পড়ে তাঁর ঘাড়ে। ঋদ্ধির জায়গায় দলে সুযোগ পান পন্থ।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে স্মরণ: দিলীপ দোশি

এক্ষেত্রে মনে পড়ছে ভারতের এক বিস্মৃতপ্রায় ক্রিকেটারকে। তিনি প্রবীর কুমার সেন বা খোকন সেন। তাঁর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩১ মে অবিভক্ত ভারতের তৎকালীন কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ছিলেন উইকেটকিপার। ডানহাতি এই বাঙালি ব্যাটিংয়েও বেশ দক্ষ ছিলেন। ফলস্বরূপ ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন। ব্র্যাডম্যান নামক জীবন্ত এক মিথকে চকিতে স্টাম্পড আউট করে দিয়েছিলেন তিনি। উইকেট থেকে সামান্যই বেরিয়েছিলেন ডন। ব্যস, ওতেই বাজিমাত। স্বয়ং ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ স্বীকার করেছিলেন কত কঠিন কাজ কত সহজে করেছিল একুশ বছরের এই তরুণ। তবে এমন ইতিহাস রয়েছে যে বাঙালি ক্রিকেটারের নামে, তাঁরও আন্তর্জাতিক কেরিয়ার কিন্তু দীর্ঘ হয়নি।
আরও পড়ুন: ছোটজনের বড় সাফল্য: খেল জগতের বৃত্তান্ত

সেন দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন উইকেটরক্ষক খোকন সেন, জুন ১৯৫২
আর ৩৬ রানে ভারতের ইনিংসের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে ৪২-এ অলআউট নয়, মনে পড়ছে ১৯৬৯ সালে হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়া ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড টেস্টের কথা। কারণ, ওই টেস্টে খেলেছিলেন আরও এক বাঙালি, অম্বর রায়। তাঁর প্রতি প্রত্যাশাটা একটু বেশিই ছিল। কারণ ৩ অক্টোবর পটনায় হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রান করে ব্যর্থ হলেও প্রথম ইনিংসে অম্বর রায় করেছিলেন ৪৮। কিন্তু ১৫ অক্টোবর হওয়া তৃতীয় টেস্টে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি অম্বর। বলা চলে, গোটা ভারতীয় দলই ব্যর্থ হয়েছিল সেই টেস্টে। দুই ইনিংসে ভারতের স্কোরেই তার প্রমাণ মিলবে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ইনিংস শেষ হয়েছিল মাত্র ৮৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও মতে হার বাঁচিয়ে ৭/৭৬ … অম্বর রায় দু’টি ইনিংস মিলিয়ে করেন ০ এবং ৪ … গোটা টিমের সঙ্গে ব্যর্থ হন তিনিও।
আরও পড়ুন: অমল আলোয় ফুটবলার অমল গুপ্ত: কিছু স্মৃতি, কিছু কথা

অম্বর রায়
এরপর আর মাত্র দু’টি টেস্টে সুযোগ পান তিনি। ইডেন গার্ডেন্সে খেলেন জীবনের শেষ টেস্ট ম্যাচ। ব্যর্থ হন। দল থেকে ছিটকে যান অম্বর। এরপর রঞ্জি খেলে জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টায় লড়াইও চালাতে থাকেন। ফর্মের শীর্ষে থাকা চন্দ্রশেখর-প্রসন্নের বিরুদ্ধে একই রঞ্জি মরশুমে তিনটি সেঞ্চুরিও হাঁকান। দলীপ ট্রফিতেও করেন ঈর্ষণীয় পারফরম্যান্স। তবুও সুযোগ মেলেনি ভারতীয় দলে। অন্যদিকে, জাতীয় দলের নির্বাচক হওয়ার সুযোগ মিললেও বাংলার রঞ্জি জয়ী দলের অধিনায়ক উইকেটরক্ষক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় বঞ্চনার কাহিনি কোনও না কোনও প্রসঙ্গক্রমে অন্তত একবার উঠে আসেই। আচ্ছা, ঋদ্ধিমানের সঙ্গেও এমন বঞ্চনা ঘটছে না তো?
আরও পড়ুন: সত্যজিৎ ঘোষ: ফ্ল্যাশব্যাকে আশির দশকের কলকাতা ফুটবল দুনিয়া

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
আবার ফিরি চলমান টেস্টে। দলের প্রয়োজনে তখন পন্থকে ক্রিজে টিকে থাকতেই হত। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে অনেক বেশি ধৈর্য ও সহনশীলতা দেখানোর দরকার ছিল তাঁর। কারণ তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে ভারত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ও হনুমা বিহারির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়েছিল। সুতরাং আসন্ন পতন রোধে ভারতকে উদ্ধার করতে পারত একটি পার্টনারশিপ। কিন্তু পন্থ তার পরিবর্তে আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন। তাঁর ব্যক্তিগত স্কোর যখন তিরিশের কোঠায়, জোশ হ্যাজলউডের একটি বল পন্থের বাম কনুইয়ে আঘাত করে। যা পন্থকে আরও দুর্বল করে দেয়। তখন ডেভিড ওয়ার্নারকে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে উইকেট উপহার দেন তিনি। তাঁর ৩৪ রানে আউট হওয়ার পরে ভারতের ইনিংসও আর বেশি দূর এগোয়নি। ভারতের ফ্রন্টলাইন ব্যাটসম্যান পুজারা অর্ধশতক পূরণ করলেও প্যাট কামিন্সের বলে আউট হয়ে যান। তবুও উইকেটরক্ষক এবং ব্যাটসম্যান হিসাবে পন্থের ব্যর্থতা সবচেয়ে বেশি করে চোখে পড়ছে।

'পরিবর্ত' হিসাবে মঠে নামা ঋদ্ধিমান
আসল বিষয়টি হল তিনি ভালো উইকেটকিপার নন। তার ওপর তিনি ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। যদিও ঋষভ পন্থের পক্ষে এক্ষেত্রেও একটি ইতিবাচক যুক্তি রয়েছে। পন্থ ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লন্ডনের পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। সুতরাং এমন হতেই পারে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে সফল হলেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হল, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট সফল হলে কি পার পেয়ে যাবেন তিনি? সেক্ষেত্রে চতুর্থ টেস্টে কি আবারও তবে ঋষভকে গ্লাভস হাতে দেখা যাবে? আর এদিন সকালে পরিবর্ত ‘পাপালি’র ক্যাচ নেওয়া দেখার পর একটা কথা বলতেই হয়, চতুর্থ টেস্টে তাঁর যদি সুযোগ না মেলে, তাহলে খারাপই লাগবে।

লাবুশানের ক্যাচ তালুবন্দি করছেন ঋদ্ধি
আরও একটা প্রশ্ন, শিলিগুড়ির পাপালি কি ব্যাট হাতে উপযোগী নন? ভারতের হয়ে ২৬৩তম টেস্ট ক্যাপের অধিকারী ঋদ্ধিমানের কিন্তু তাঁর ৩৮ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে। পুরনো কাসুন্দি না হয় না-ই ঘাটলাম। এবার যখন ভারত অস্ট্রেলিয়া গেল, তার আগে আইপিএলে চোট পেয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। অস্ট্রেলিয়াতেই রিহ্যাব করে সুস্থ হয়ে দল যখন প্রথম টেস্টে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচের নামল, ভারত কিন্তু সেই ম্যাচ বাঁচিয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহার দায়িত্ববোধ পূর্ণ ১০০ বলে ৫৪ রানের সৌজন্যে। একের পর এক উইকেট যখন ভারত হারাতে থাকে, ঠিক সেই সময় ঋদ্ধিমানের কাঁধে ভর করে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে পৌঁছয় ৯/১৮৯-এ। ঋদ্ধিমান যদি সেদিন উইকেটে থিতু না হতেন, তাহলে অনেক আগেই অলআউট হয়ে যেত টিম ইন্ডিয়া। আর অস্ট্রেলিয়াকে ১৩১ রানের টার্গেটও দেওয়া হত না। শেষমেশ অস্ট্রেলিয়া এক উইকেটে করে ৫২ রান। তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র হয়। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সত্ত্বেও দলের প্রতি ঋদ্ধির দায়িত্ববোধ সকলকে মুগ্ধ করেছিল। সেই কারণে মিডল অর্ডারে ঋদ্ধির টেকনিক দলের প্রয়োজনে খুবই কার্যকরী, একথা বলাই বাহুল্য।

সুব্রত ব্যানার্জি
সুব্রত ব্যানার্জিকে মনে আছে? জীবনের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। কিন্তু অদ্ভুত ভাবেই দ্বিতীয় দিনে তাঁকে এক ওভারও বল করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ক্যাপ্টেন আজহারউদ্দিন নাকি সুব্রতকে বল দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। কি বিচিত্র! আর হালে ডাউন আন্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে টিম ম্যানেজমেন্ট কী চায়, একজন সেরা গ্লোভম্যান নাকি ব্যাটসম্যান কিপার? তা এখনই চিন্তা করতে হবে। না হলে হয়তো আরও একবার বঞ্চনার সাক্ষী থাকবে বাঙালি।

এমনই এক লেখার অপেক্ষায় ছিলাম কারো কাছে।
আর সেটা আমার অন্যতম প্রিয় লেখকের কাছেই পেয়ে গেলাম।
প্রতিবাদ করতে বাঙালি এখন ও ভোলেনি।
তবুও কেন এত দেরি!
ঋদ্ধিমান প্রতি এই অন্যায়ে দেশের ক্রিকেট মহল নীরব কেন বুঝি না? নেতিবাচক অনেক উত্তর মাথায় আসে কিন্তু সেটা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি। কারণে আদতে যে দলটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সেটি ভারতীয় দল।