৯৪ মিনিটে রয় কৃষ্ণার গোলে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল হাবাসের ছেলেরা

সায়ন ঘোষ
পরিত্রাতা সেই রয় কৃষ্ণা। ৯৪ মিনিটে রয় কৃষ্ণার গোলে জয় পেল মোহনবাগান। গত ডার্বি জেতার পর সবার মুখে ঘুরছিল ময়দানের প্রচলিত মিথ। ডার্বি জেতার পরের ম্যাচেই হোঁচট খায় ডার্বি জয়ী দল। এই মিথ আগের ডার্বিতে ভেঙেছিলেন কিবু ভিকুনা। এবার সেই মিথ ভাঙলেন হাবাস। এদিন তিনি ওড়িশাকে হয়তো কিছুটা হালকাভাবেই নিয়েছিলেন। তাই তিনি প্রথম একাদশে চার বিদেশিকে রাখেন। গোলে অরিন্দম ভট্টাচার্য। রক্ষণের দায়িত্ব ছিল প্রীতম, তিরি, সন্দেশের উপর। দুই উইংয়ে প্রবীর ও শুভাশিস। মাঝমাঠে জয়েশ রানে, ম্যাকহিউ আর জাভি হার্নান্দেজ। আপফ্রন্টে রয় কৃষ্ণা ও মনবীর সিং।

প্রথমার্ধে সেভাবে খেলতেই পারেনি এটিকে মোহনবাগান। প্রবীর দাসকে নিষ্প্রভ লাগছিল। জয়েশ রানেকে মাঝমাঠে খুঁজেই পাওয়া গেল না। অন্যদিকে, ওড়িশা এফসি-র প্রধান ভরসা মার্সেলিনহো চোট পেলে মাঠে নামেন স্যামুয়েল লালমুনপুইয়া। রক্ষণ দুরন্ত হলেও মাঝমাঠৈ রীতিমতো অগোছালো ছিল মোহনবাগান। গৌরব বোরা ও আলেক্সান্ডার ওড়িশার মাঝমাঠকে সচল রেখেছিল। ৩৫ মিনিটে ওড়িশা ডিফেন্সের স্তম্ভ ট্রটের হেড থেকে গোল হতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। ব্রাড ইমাম নামতে মাঝমাঠে বাঁধুনি আসে মোহনবাগানের। প্রবীর দাসও এই সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠে। একের পর এক আক্রমণ তুলতে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘সুইচ হিট’ খেলায় কোনও ভুল নেই, চ্যাপেলকে জবাব ম্যাক্সওয়েলের

৫৫ মিনিটে আলেক্সান্ডার আত্মঘাতী গোল করলেও হ্যান্ডবলের অজুহাতে তার বাতিল করেন রেফারি অজিত মিতেই। তাঁর আগে ৫০ মিনিটে অ্যান্টোনিও বক্সে প্রবীর দাসকে ফাউল করলেও রেফারি পেনাল্টি না দিয়ে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক দেন। তবে হাল ছাড়েননি হাবাস। একদম শেষ মুহূর্তে তিরির ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করে ৩ পয়েন্ট এনে দেন রয় কৃষ্ণা। এই জয়ের ফলে সবুজ মেরুন ব্রিগেড তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে রইল।

ছবি আইএসএল
#JOY_MOHUNBAGAN…
♥️♥️♥️