ভূতেরা ফিরে আসে যে দিনগুলোয়

বিশ্বদীপ দে
আজ ভূত চতুর্দশী। গভীর নিশুতি রাতে কবেকার ফেলে যাওয়া মায়ার কাছে আবার ফিরে আসবেন অতীতের ছায়ারা। রক্তস্রোতের চোরাটান আবার তাঁদের ফিরিয়ে আনবে আজকের পৃথিবীতে!
‘জীবন এত ছোট কেনে?’ এ প্রশ্ন আজকের নয়। সেই কবে থেকে, মানবসভ্যতার একেবারে গোড়া থেকেই মানুষকে ভাবিয়েছে এই প্রশ্ন। সমস্ত ভালোবাসা-ঘৃণা-রাগ-দুঃখ-অভিমান যা কিছু ইহজীবনের প্রাপ্তি, সব কিছুকে ফেলে রেখে দুম করে চলে যেতে হবে। হবেই। মৃত্যু এসে টেনে দেবে এক দিগন্তবিস্তারী অনন্ত পর্দা। মুহূর্তে সবকিছু আড়ালে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ’

কিন্তু এ কথা মানলে চলবে কেন? মৃত্যুবোধ মানুষকে বরাবরই বিষণ্ণ করে তোলে। আর তাই সে বিশ্বাস করতে শুরু করে মৃত্যুতেই শেষ নয়। হতে পারে না। শরীর চলে গেলেও চেতনা থেকে যায়। সেই চেতনা বা আত্মা নষ্ট হয় না। ফিরে ফিরে আসে।
মহাভারতে আছে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ষোলো বছর পরে এক রাতে মহর্ষি ব্যাসদেব ভাগীরথী নদীর জলে নেমে মৃত যোদ্ধাদের আহ্বান করেছিলেন। এক রাতের জন্য আবার ফিরে এসেছিলেন ভীষ্ম, দ্রোণ, অভিমন্যু, ঘটোৎকচ, কর্ণ, শকুনি, দুর্যোধন, দুঃশাসন সহ সমস্ত মৃত যোদ্ধারা। তাঁদের জন্য নদীতীরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁদের প্রিয়জনেরা। এক অলৌকিক মুহূর্তে জীবিত ও মৃতেরা মিলিত হলেন। বহু বছর পর। পরে রাত শেষ হলে আবার সেই মৃত মানুষেরা ফিরে গেলেন।
আরও পড়ুন: চড়াই-উতরাইয়ের কথা: জন্মদিনে পক্ষীবিদ সালিম আলি

মহাভারতের এই উপাখ্যানের পুনরাবৃত্তিই যেন আমরা দেখতে পাই পৃথিবীজুড়ে। বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে মৃত মানুষের পুনরাগমনের যে উৎসবগুলি বিশ্বময় প্রচলিত, তা যেন মহাভারতের এই কাহিনিরই এক অন্যতর পুনর্নিমাণ। অ্যাজটেক বা মায়া সভ্যতার প্রচলিত বিশ্বাস, বছরের একটি বিশেষ দিনে প্রয়াত আত্মজনেরা ফিরে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের কাছে। সেই প্রাচীন সভ্যতাতেই কেবল নয়, আজও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এমন ধরনের উৎসব পালিত হয়ে চলেছে। আমাদের ভূত চতুর্দশীই কেবল নয়, এমন উৎসব আরও আছে। এই লেখায় আমরা ছুঁয়ে যাব তেমনই কিছু উৎসবকে। তবে প্রথমে ভূত চতুর্দশীর কথা।
ভূত চতুর্দশী
আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথি। কালীপুজোর ঠিক আগের দিন। শীতের হালকা আমেজ সবে অনুভব করা যাচ্ছে বাতাসে। অল্প অল্প কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে রাতের দিকে। ঠিক এই সময়েই ভূত চতুর্দশী। বাঙালি হিন্দুরা চোদ্দো শাক, চোদ্দো পিদিমের বাৎসরিক অভ্যেসে স্মরণ করেন পুর্বপুরুষদের। বহু যুগের ওপার থেকে সেই মানুষেরা আবার ফিরে আসেন উত্তরপুরুষদের কাছে। এমনিতেই কালীমূর্তির কল্পনায় একটা গা ছমছমে ভয়ের আবহ আছে। আর তার ঠিক আগের দিনই এমন এক উৎসব। আজকাল অবশ্য চোদ্দো শাক খাওয়ার ব্যাপারটা আস্তে আস্তে কমে এসেছে। কিন্তু চোদ্দ পিদিম জ্বালিয়ে রাখার ব্যাপারটা এখনও আছে।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরের আলুই-রায়পাড়ার শ্রীধর মন্দির

খুব ছোটবেলায় অনেকেই এমন দিনে রোমাঞ্চিত হত কল্পনায়। গভীর নিশুতি রাতে ফিরে আসছেন অতীতের নট ও নটীরা। এমন আশ্চর্য মায়াবী অথচ ভয়ের এক উৎসব তাদের মনে কল্পনার রংমশাল জ্বালিয়ে দিত। শুধু তারাই বা কেন, তাদের অভিভাবকরাও মনেপ্রাণে স্মরণ করতেন পুর্বপুরুষদের। সেই সব ভয় পাওয়ানো ঝুঁঝকো অন্ধকার আজ আর নেই। কিছুটা ম্লান হয়ে এসেছে ভূত চতুর্দশীও। কিন্তু তবু রয়ে গেছে। হারিয়ে যায়নি। অন্তত ক্ষণিকের জন্যও কি এই বিশেষ দিনে আমাদের চোখ চলে যায় না অন্ধকার আকাশের দিকে? মনে হয় না, আজ তাঁরা আসবেন! বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া মানুষেরা। রক্তস্রোতের চোরাটানে রক্তমাংসের পৃথিবীতে আবার জলছাপ পড়বে অস্তিত্বের অলীক উপস্থিতির!

হ্যালোইন
প্রতি বছর অক্টোবরের ৩১ তারিখে হ্যালোইন পালিত হয়। আসলে এই অনুষ্ঠান দু-দু’টো অনুষ্ঠানের সমষ্টি। ‘অল হ্যালোস’ আর ‘সা-উইন’। ‘অল হ্যালোস’-কে কেউ কেউ ‘অল সেইন্টস ডে’-ও বলে। নভেম্বরের ১ তারিখে পালিত হত এটি। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে জগতের সমস্ত সেইন্টদের স্মরণেই এই উৎসব। আর ‘সা-উইন’ হল একটি প্রাচীন আইরিশ শব্দ। এর অর্থ ‘গ্রীষ্মের শেষ’। প্রকৃতপক্ষে গ্রীষ্মের সমাপ্তি হিসেবেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। ৩১ অক্টোবর শুরু হয়ে ১ নভেম্বর পর্যন্ত চলত। এই অনুষ্ঠানের চরিত্র অনেকটা আমাদের নবান্নের মতো। এই উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল মৃতের প্রত্যাবর্তন। ৩১ তারিখ রাতে মন্দ-ভালো সব আত্মাই নাকি নেমে আসে ধরাধামে! মন্দ বা দুষ্টু আত্মাদের কাছ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্যেই ভুতুড়ে মুখোশ আর কিম্ভুতকিমাকার পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে নেয় সবাই। যাতে ভূতেরা ‘জ্যান্ত’ বলে চিনতে না পারে! যদিও এটা কেলটিক (ব্রিটিশ আইলস সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী ছ’টি জাতিকে এই নামে ডাকা হয়) উৎসব, তবে বেশি জনপ্রিয় ছিল আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডেই। পরবর্তী সময়ে এই দুই উৎসব মিলেমিশেই তৈরি হয়েছে আজকের হ্যালোইন। শুধুমাত্র কেলটিক অধিবাসীরাই আর নয়, সারা পৃথিবীই ৩১ অক্টোবর প্রেতাত্মার ছদ্মবেশ ধারণ করে হইহই করে পালন করে এই উৎসব। বাড়ির দরজাগুলি সেজে ওঠে আত্মার ছবিতে! আশপাশ সেজে ওঠে ভুতুড়ে প্রতিকৃতিতে।
আরও পড়ুন: কমলা হ্যারিস: যে রং আগুনের, পলাশের

কিন্তু হ্যালোইন বললে সবার আগে চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘জ্যাক-ও-ল্যানটার্ন’-এর ছবি। লাউ কেটে তৈরি করা এই বিশেষ আত্মার প্রতিকৃতিই সারা পৃথিবীর কাছে হ্যালোইনের প্রতীক। প্রাচীন ইংলিশ লোককথা থেকে এর উৎপত্তি। নানা রকম গল্প রয়েছে জ্যাককে নিয়ে। যার একটি আয়ারল্যান্ডের। মাতাল ও কুঁড়ের হদ্দ এক চাষি জ্যাক রীতিমতো নাকানিচোবানি খাইয়েছিল শয়তানকে। মদ্যপ অবস্থায় পথ চলার সময় শয়তানের পা মাড়িয়ে দেয় সে। ক্রুদ্ধ শয়তান তখনই তাকে নিয়ে যেতে চায় নরকে। একবার শেষবারের মতো মদ খেতে চায় নাস্তানাবুদ জ্যাক। শয়তান রাজি হয়। পাবে গিয়ে জ্যাক প্রচুর পান করতে থাকে। হাজির হয় লম্বা বিল। এদিকে জ্যাকের কাছে কানাকড়িও নেই। সে শয়তানকে একটি রুপোর মুদ্রা হয়ে যেতে অনুরোধ করে। যাতে সেই দিয়ে বিল মিটিয়ে সে শয়তানের সঙ্গে নরকে যেতে পারে। শয়তান তার ফাঁদে পা দিতেই জ্যাক তাকে নিজের পকেটবন্দি করে ফেলে। পকেটে ছিল ক্রুশ। ফলে শয়তান একদম জব্দ। শেষমেশ দশ বছরের জন্য মুক্তির আর্জিতে শয়তানকে রাজি করিয়ে তবে তাকে ছাড়ে জ্যাক। দশ বছর পর শয়তান ফিরে এলে জ্যাক তাকে জানায় আরেকটা ‘শেষ ইচ্ছে’র কথা। এবার সে প্রাণ ভরে আপেল খেতে চায়! আবারও সেই ইচ্ছে মেটাতে রাজি হয় শয়তান। আপেল পাড়তে গাছে উঠে পড়ে। এবং আবারও বন্দি হয়। কেননা জ্যাক ক্রুশ দিয়ে গাছের গোড়া সিল করে দিয়েছে! বিপদে পড়ে শয়তান তখন অসহায়ের মতো জ্যাকের শর্ত মেনে নিয়ে তাকে একেবারের জন্য মুক্তি দেয়। জ্যাকের জন্য বন্ধ হয়ে যায় নরকের দরজা। বরাবরের জন্য।
আরও পড়ুন: পালাবদলের প্রেক্ষাপট: মার্কিন মুলুকের নির্বাচন

সময় যায়। শেষমেশ একদিন মৃত্যু আসে জ্যাকের জীবনে। মৃত্যুর পর তার অবস্থা হয় খুব খারাপ। মদ খাওয়া ও আরও অনেক খারাপ কাজের জন্য স্বর্গে সে ঢুকতে পারে না। আবার নরকেও তার প্রবেশাধিকার নেই! অগত্যা লালচে-কমলা আলোয় বন্দি হয়ে জ্যাক ঘুরে বেড়াতে থাকে এদিক-ওদিক। আজও সে ফিরে ফিরে আসে। হ্যালোইনের দিনে।
ওবন
জাপানের উৎসব। লণ্ঠনের উৎসব নামেই লোকে একে চেনে। আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানেরও মূল সুর হ্যালোইনের মতোই। মৃত মানুষের ফিরে আসার মিথ এখানেও রয়ে গেছে। তবে এখানে কোনও অনিষ্টকারী আত্মার গল্প নেই। জীবিতের দুনিয়ায় আপনজনেদের সঙ্গে একটি দিন কাটাতে আসেন তাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনরা। অনেকটা আমাদের ভূত চতুর্দশীর মতোই। একইভাবে এখানেও আত্মাদের আলো দেখানো হয়। যাতে পথ চিনতে সুবিধে হয় তাঁদের। দরজায় ঝোলানো কাগজের লন্ঠনের আলোয় এক আশ্চর্য মায়া তৈরি হয়। আলো-আঁধারির সেই মায়াবী পথ ধরে বাড়ি ফেরে চিরঘুমের দেশে হারিয়ে যাওয়া মানুষেরা। জাপানে বসবাসকারী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আত্মাদের উদ্দেশে বিশেষ খাবার নিবেদন করেন। উৎসব শেষে কাগজের লণ্ঠনের ভিতর মোমবাতি ভরে তাকে ভাসিয়ে দেওয়া হয় জলে। অন্ধকারের মধ্যে জেগে থাকে বিষণ্ন সেই সব আলোর রেশ। নদীর জলে ভাসতে ভাসতে আলোগুলি পথ দেখায় মৃত মানুষদের। যাতে তারা নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে তাদের বর্তমান বাসস্থানে। শুরু হয় আবার একটি বছরের অপেক্ষা।

পি’চুম বেন
সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। কম্বোডিয়ার বৌদ্ধরা পালন করেন। চোদ্দো দিন ধরে সূর্য ওঠারও আগে, যাকে ঊষাকাল বলে, সেই সময় ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তাঁরা। তৈরি করেন নানা রকম খাবার। সঙ্গে থাকে উপহার। স্থানীয় প্যাগোডার সন্ন্যাসী ও তাঁদের পূর্বপুরুষদের নিবেদন করা হয় সে সব। এই অনুষ্ঠানের নাম পাক বেন। পনেরোতম দিনে সমস্ত অধিবাসীরা একত্রিত হন প্যাগোডাগুলিতে। তাঁদের সঙ্গে থাকে নানা রকমের খাবারদাবার। যেমন, মিষ্টি আঠালো ভাত ইত্যাদি। এমনই সব খাবারকে কলাপাতায় মুড়ে নিবেদন করা হয়। এই বিশেষ দিনটিকে বলা পি’চুম বেন। প্যাগোডাগুলির সামনের মাঠেও ছড়িয়ে দেওয়া হয় ভাত। যাতে ক্ষুধার্ত প্রেতেরা এসে তা গ্রহণ করে তৃপ্ত হন। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সকলে মেতে ওঠেন। গায়ে দেন নতুন পোশাক। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনেরা মিলে জড়ো হন প্যাগোডাগুলিতে। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় পাক বেন।

লস দিয়াস দে লস মুর্তোস
১ নভেম্বরের ‘অল সেইন্টস ডে’ আর ২ নভেম্বরের ‘অল সোলস ডে’— এই দু’দিন মেক্সিকোতে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। প্রয়াত প্রিয়জনদের ছবির পাশে ফুল, খাদ্য, পানীয় রেখে তাঁদের স্মরণ করা হয়। তবে এখানে বিশেষ করে আহ্বান করা হয় সেই প্রিয়জনদের, যাঁরা সদ্যপ্রয়াত। হ্যালোইনের মতো এখানেও ভুতুড়ে ছবি বা কঙ্কালের ছবি দিয়ে বাড়ির দরজা সাজানো হয়। আসলে এই উৎসবের মধ্যে মিলেমিশে গেছে ইউরোপিয়ান সংস্কৃতি ও প্রাচীন মায়া ও অ্যাজটেক সভ্যতার ঐতিহ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে অ্যাজটেক সভ্যতার কথা। সেখানে একদিন বা এক সপ্তাহ নয়, পুরো দু’মাস জুড়ে চলত উৎসব। মৃত্যু ও মৃত মানুষ ছিল সেই উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে। পুজো করা হত মৃত্যুর দেবীকে। আর খাদ্য ও পানীয় নিবেদন করা হত মৃত মানুষদের উদ্দেশে।

আসলে এই সব উৎসব মৃত্যুকে অগ্রাহ্য করে জীবনের জয়গানের কথাই বলে। মৃত্যুর পরে যে চির অন্ধকার উপত্যকা, সভ্যতার আদিম অবস্থা থেকেই মানুষকে তা ভাবিয়ে এসেছে। বিখ্যাত সাহিত্যিক এইচ পি লাভক্র্যাফট লিখেছিলেন— ‘দ্য ওল্ডেস্ট অ্যান্ড স্ট্রংগেস্ট কাইন্ড অব ফিয়ার ইজ ফিয়ার অফ দ্য আননোন’। মৃত্যুর চেয়ে অজানা আর কী আছে? তবু মানুষ হার মানতে চায় না তার কাছে। সেই ভয়কে জয় করে সে মৃত্যুর মুখোমুখি বসতে চায়। ইঙ্গমার বার্গম্যানের ‘দ্য সেভেন্থ সিল’ ছবিতে নাইট যেমন মৃত্যুকে দাবায় হারাতে চেয়েছিল।

এই ইচ্ছে আসলে প্রতিটি মানুষেরই। সে জানে, এ এক অসম যুদ্ধ। যে যুদ্ধে শেষপর্যন্ত হারতেই হবে তাকে। তবু সে বিশ্বাস করে, এখানেই শেষ নয়। মৃত্যুর পরেও জীবন আছে। সেখান থেকে আবার ফিরে আসা যায় এই নশ্বর পৃথিবীতে। তা সে বছরে মাত্র একদিনের জন্য হলেও।
এই বিশ্বাস তাকে সাহস জোগায়। মৃত্যুকে অগ্রাহ্য করে জীবনের প্রতি আরও অনুগত হতে, আরও শুদ্ধ হতে শেখায়।

পুরনো লেখা থেকে
সময় করে সময় নিয়ে পড়া স্বার্থক হলো।