Mysepik Webdesk: পঞ্জাব ভারতকে এমন অনেক ক্রিকেটার উপহার দিয়েছে, যাঁদের নাম সারাবিশ্বে সমাদৃত। যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, নভজ্যোত সিং সিধু, যশপাল শর্মা, যোগরাজ সিং এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এখন এই তালিকায় আরও একটি নাম যুক্ত হয়েছে। লুধিয়ানার নেহাল ওয়াধেরা। তিনি ক্রিকেটের বিশ্ব ‘রান মেশিন’ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টে ৫৭৮ রান করে চমন লালের ৬৬ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন নেহাল ওয়াধেরা। চার দিনের সেমিফাইনাল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-২৩’এ ২৮ এপ্রিল হামবরা রোডের কাছে জিআরডি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভাটিন্দার সঙ্গে খেলা ছিল। এই ম্যাচে নেহাল ৪১৪ বলে ৫৭৮ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন। তিনি হাঁকান ৩৭টি ছক্কা এবং ৪২টি চার। নেহালের এই হিমালয়সমান ইনিংসের ভিত্তিতে লুধিয়ানা ৪ দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৮৮০ রানে তাদের ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে। জবাবে দিনের শেষে ভাটিন্ডা ৪ উইকেটে ১১৭ রান করে।
আরও পড়ুন: মীনা কাপ-২০২২ জিতে ইতিহাস চণ্ডীগড় মিনার্ভা অ্যাকাডেমি অনূর্ধ্ব-১২ দলের

নেহাল ওয়াধেরা একটি রাজ্য আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ৬৬ বছরের পুরনো সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। নেহালের আগে এই রেকর্ডটি ছিল পঞ্জাবের প্রাক্তন ক্রিকেটার চমন লাল মালহোত্রার। তাছাড়াও নেহাল তিন নম্বরে ব্যাট করে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের যেকোনও ফরম্যাটে সর্বকালের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। নেহাল দ্রুততম ২০০, দ্রুততম ৩০০, দ্রুততম ৪০০ এবং দ্রুততম ৫০০ রান করেছেন। এটি প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট না হলেও কোনও অংশে এমন কৃতিত্বকে খাটো করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ৩৯ বছরে ভ্যাকালুদার ফুটবল ‘টোল’

নেহাল বলেছেন, সারাদেশে লক্ষ লক্ষ ক্রিকেটার রয়েছে। সেই লক্ষের মধ্যে থেকেও ছাপ ফেলতে চাইলে আলাদা কিছু করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আমার আগ্রহ। আমি শারীরিক ফিটনেস এবং খেলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করি। পরিবারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি বলেই আজ খেলতে পারছি। আমি পড়াশোনাতেও পুরোপুরি মনোযোগ দিই। এখন সরকারি কলেজ থেকে বিএ ফাইনাল করছি। আমার স্বপ্ন আইপিএল এবং ভারতীয় সিনিয়র দলে খেলা। নেহাল জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি যুবরাজ সিংয়ের বড় ভক্ত। যুবরাজ সিংয়ের প্রতিটি ম্যাচই তিনি দেখেছেন। যুবরাজ সিংয়ের ব্যাটিং দেখে তিনি অনেক কিছু শেখেন। যুবরাজ সিং থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি ক্রিকেট ম্যাচে দ্রুত রান করা শিখছেন। একই সঙ্গে তাঁর কোচ এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রাও তাঁকে পূর্ণ সমর্থন করেন।