কৃষি আন্দোলন আরও তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত, গাজিপুর সীমান্ত থেকে পিছু হটল পুলিশ

Mysepik Webdesk: ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্র্যাক্টর কুচকাওয়াজে হিংসার ঘটনার পরে পুলিশ গত ২ দিন ধরে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। অনেকেই মনে করেছিলেন যে, কৃষক আন্দোলনে এবার বোধহয় যবনিকা পড়বে। তবে গত রাতে গাজিপুর সীমান্তে যা ঘটেছে, তাতে করে কৃষক আন্দোলনকে আরও তীব্র বলে মনে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে অবধি গাজিপুর সীমান্তে ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপরে কৃষি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই সন্দিহান হন। তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ বদলাতে শুরু করে। এমনকী পুলিশকে মধ্যরাতে ফিরে আসতে হয়। কারণ, কৃষকরা এই আন্দোলনকে আরও তীব্র করার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, মুজফফরনগরে আজ সকাল ১১টায় একটি মহাপঞ্চায়েত আহ্বান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষকনেতাদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকের পর পিকেট থেকে সরে আসতে রাজি হন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইট। বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোরের প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ইউ-টার্ন নিয়েছিল বিষয়টি। নন্দ কিশোর তাঁর সমর্থকদের নিয়ে পিকেটে পৌঁছেছিলেন। তিনি পুলিশকে রবিবারের মধ্যেই আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে বলেন, না হলে তাঁরাই কৃষকদের সরিয়ে দেবেন। এই হুমকির প্রতি তুমুল প্রতিবাদ জানিয়ে টিকাইট বলেন, ‘‘বিজেপি বিধায়ক পুলিশ বাহিনী নিয়ে কৃষকদের জবাই করতে এসেছেন। সুতরাং এখন আমরা কোথাও যাচ্ছি না।” রাকেশ টিকাইটের বড় ভাই নরেশ টিকাইট জানান যে, এখন তিনটি কালো আইন নিষ্পত্তি করেই তাঁরা ফিরবেন।
আরও পড়ুন: পতাকার ভাঁজে: দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের অন্য সমীকরণ

গাজিপুর সীমান্তে পরিবর্তিত পরিস্থিতি দেখে রাত দশটায় জনতা মুজফফরনগরের সিসৌলি গ্রামে রাকেশ টিকাইতের বাড়ির সামনে স্লোগান দিতে দিতে ভিড় বাড়াতে থাকেন। এদিকে রাকেশ টিকাইতকে ডেকে জাট নেতা এবং আরএলডি প্রধান অজিত সিং এই আন্দোলনের পক্ষে সমর্থনও ঘোষণা করেছিলেন। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরিও জানিয়েছেন যে, শুক্রবার তিনি টিকাইতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
উল্লেখ্য যে, রাত ১১টা থেকে মিরাট, মুজাফফরনগর, গাজিয়াবাদ, শামলী ও বাগপাটের লোকজন গাজিপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ইউপি ছাড়াও হরিয়ানাতেও বিভিন্ন খাপ ঘোষণাও করে দেয় যে, তারাও দিল্লি সীমান্তে পৌঁছবে। হরিয়ানার ভিওয়ানি থেকে এক হাজার ট্র্যাক্টর কৃষকরা রওনা হন। উভয় রাজ্যের পরিস্থিতির বেগতিক দেখে গাজিপুর সীমান্তে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশের অপেক্ষায় থাকা পুলিশ বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে।

বৃহস্পতিবার গাজিপুর সীমান্তে ইউপি পুলিশ বিকেল ৪টেয় এই পুরো এলাকা সিল করে দেয়। ভারী পুলিশের উপস্থিতিতে কৃষকদের হটানোর জন্য একটি নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, ধর্মঘট তাঁরা সরিয়েই ছাড়বেন। হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষকনেতা টিকায়েট বলেন, ‘‘আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমি আত্মহত্যা করব, কিন্তু দেশের কৃষকদের বরবাদ হতে দেব না।” এ-কথা বলার সময় কৃষকনেতার চোখে জল লক্ষ করা যায়।
আপনাদের আপডেটস্ গুলো অন্তত প্রচার মাধ্যমের সুগঠিত চিত্রনাট্যের বিপ্রতীপে একটি স্পষ্ট ধারণা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উল্লখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।