উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ের পিছনে কি হিমালয়ে আমেরিকার বসানো রাডার? হবে তদন্ত

Mysepik Webdesk: উত্তরাখণ্ড সরকার চামোলিতে হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার কারণ খুঁজতে একটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করতে চলেছে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে ৫৬ বছর আগে আমেরিকা যে রাডার ব্যবস্থা পাঠিয়েছিল, তাও খুঁজে বের করবার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করা হবে। এটিতে পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত একটি ক্যাপসুল ছিল (প্লুটোনিয়াম)। এই রাডার দিয়ে চিনকে পর্যবেক্ষণ করা হত। রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সতপাল মহারাজ সোমবার একথা জানিয়েছেন। সতপাল মহারাজ আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর মন্ত্রকের অধীনে একটি বিভাগও তৈরি করা হবে, যা উপগ্রহ থেকে হিমবাহ পর্যবেক্ষণ ও অধ্যয়ন করবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, প্লুটোনিয়ামে বিস্ফোরণের কারণে হিমবাহটি যদি ভেঙে যায়, তবে উত্তরাখণ্ড এবং বিশেষত গঙ্গা নদীতেও বিপজ্জনক বিকিরণ ছড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: যাত্রীবোঝাই বাস খালে পড়ল মধ্যপ্রদেশে, মৃত ৩৮

চিন ১৯৬৪ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। এর পরে, ১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের দিকে নজর রাখার জন্য ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। এর অধীনে হিমালয়ের নন্দ দেবীর পাহাড়ে একটি রাডার বসানো ছিল। এটিতে পারমাণবিক চালিত জেনারেটর ছিল। এই জেনারেটরে প্লুটোনিয়ামের ক্যাপসুল ছিল। কিন্তু যখন এই মেশিনগুলি পর্বতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন আবহাওয়া খারাপ হয়ে উঠেছিল। দল ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। যন্ত্রটি সেখানেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি হিমবাহের কোথাও হারিয়ে যায়। মেশিনগুলি হারাবার পরে, মার্কিন সেখানে একটি দ্বিতীয় সিস্টেম ইনস্টল করে। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই প্লুটোনিয়ামের কারণে চামোলির হিমবাহ ভাঙেনি তো? বলা হচ্ছে যে, এই প্লুটোনিয়াম প্যাকের বয়স প্রায় ১০০ বছর।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ের ১০ম দিনেও নিখোঁজ ১৪৮, আর তিন-চারদিনের বেশি চলবে না উদ্ধারকার্য!

ঋষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদীর আকস্মিক হিমশৈল ফেটে যাওয়ার কারণে গত ৭ ফেব্রুয়ারি চামোলি জেলার তাপোয়ান এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে নির্মিত এনটিপিসির হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্ট ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। একটি সুড়ঙ্গ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এই বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলি ছাড়াও ২২ বিকৃত মানব অঙ্গও পাওয়া গেছে। তাদের শনাক্তকরণ কেবল ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে করা হবে।