দিল্লির বিস্ফোরণের দায় স্বীকার জইশ-উল-হিন্দ-এর, ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট

Mysepik Webdesk: গতকাল বিকেল ৫ টা ৫ মিনিটে মৃদু বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি। বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল দিল্লির ইজরায়েলী দূতাবাসের সামনে। ওই বিস্ফোরণের ফলে সেরকম কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা কারও প্রাণহানি না হলেও বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশে থাকা কয়েকটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। এদিকে দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ। তাদের একটি টেলিগ্রাম চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে আসায় তাঁরা জানতে পেরেছেন এই ঘটনার নেপথ্যে আসলে করা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির বিস্ফোরণে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বিস্ফোরণস্থলের অদূরে মিলল খামবন্দি চিঠি

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই চ্যাটের সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, এরপর জইশ-উল-হিন্দ সংগঠনের পরবর্তী টার্গেট কি। সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলের অদূরেই একটি মুখ বন্ধ করা খামের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেই খামের ভেতরে যে চিঠিটি রয়েছে, সেখানে লেখা রয়েছে দিল্লির এই বিস্ফোরণের ঘটনা আসলে নাকি একটি ‘ট্রেলর’ ছিল।
আরও পড়ুন: ৬৬ দিন পর কী অবস্থায় কৃষক আন্দোলন?

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর সংখ্যক কমান্ডো বাহিনী। ফরেনসিক বিভাগ বিস্ফোরণের চরিত্র খতিয়ে দেখে জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। স্প্লিন্টার হিসেবে ওই বোমে ব্যবহার করা হয়েছে বল বেয়ারিং। এছাড়াও বিস্ফোরণস্থল থেকে একটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে, যা প্রমান করে বিস্ফোরণের জন্য টাইমার ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ সেটি ছিল একটি টাইম বোমা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইইডি-তে এমোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে আরডিএক্স ব্যবহার করা হলে বিস্ফোরণের মাত্রা আরও বেশি হত। ফলে ক্ষয়ক্ষতিও অনেক বেশি হতে পারত।