রাহুল দাশগুপ্ত
দুর্গাপূজার পরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় পূজা কালীপূজা। কালী বাঙালির অতি প্রিয় দেবতা। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় দেওয়ালির দিন এই পূজা হয়। এর নাম দীপান্বিতা কালীপূজা। বাংলার নানা স্থানে অগণিত কালীমন্দির, কালীবাড়ি বা কালীতলা প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। এদের মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ কালীঘাটের কালী। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সিদ্ধিস্থান দক্ষিণেশ্বরের কালীও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কালীর শান্ত ও উগ্র রূপের বর্ণনা নানা গ্রন্থে পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় দশম শতকের একটি প্রস্তরলিপিতে কালীর ভীষণ আকৃতির উল্লেখ আছে। মার্কণ্ডেয় পুরাণের দেবীমাহাত্ম্য অংশে কালীর যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও দেবীর ভয়ানক মূর্তির পরিচয় পাওয়া যায়। বাংলাদেশে যে কালীমূর্তির পূজা হয়, জনপ্রবাদ এই যে, ষোড়শ শতকে মাতৃসাধক তন্ত্রসাররচয়িতা কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ এই মূর্তির প্রবর্তন করেন। সাধারণত বাঙালি কালীর যে রূপের পূজা করে থাকে তাঁর নাম দক্ষিণা কালী। এর বর্ণনা পাওয়া যায় কালীতন্ত্র নামের মূল তন্ত্রগ্রন্থে। কালীর যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা এইরকম, তিনি শ্যামবর্ণের, মুক্তকেশী, দিগম্বরী, পীনোন্নতপয়োধরা, শ্মশানবাসিনী, শবরূপী মহাদেবের বুকের ওপর অবস্থিতা। তিনি নানালংকারভূষিতা নগ্না এবং সর্বদা আসবমত্তা। তাঁর ওষ্ঠাধরের প্রান্তভাগ থেকে রক্তধারা নির্গত হচ্ছে। মুখ তাঁর প্রসন্ন, পদ্মতুল্য এবং হাস্যপূর্ণ। এই দেবীর নাম দক্ষিণা বা উদারা, কারণ ইনি সাধকের স্বল্প সাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে তার অভীষ্ট পূরণ করে থাকেন। তন্ত্রসার ও শ্যামারহস্য গ্রন্থে দেবীর পূজার নানা মন্ত্র ও ধ্যান উল্লেখিত আছে। সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, রক্ষাকালী, মহাকালী ইত্যাদি দেবীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা ও পূজা-প্রণালি বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হানাবাড়ির কথা

ভদ্রকালীর রূপ সুন্দর ও শান্ত। শ্মশানে নগ্ন অবস্থায় শ্মশানকালীর পূজা করণীয়। রক্ষাকালী মদ্যপানরতা, অট্টহাস্যযুক্তা, ভীষণাকৃতি। তিনি ঘোর গর্জন করে থাকেন। দশমহাবিদ্যার মধ্যে প্রথম মহাবিদ্যাকেই বলা হয়, কালী। শক্তি-উপাসকেরা কালীকে আদ্যাশক্তি বলে উপাসনা করেন। এর চারটে হাত রয়েছে। দেবাসুরের যুদ্ধে, বিশেষত কাশ্যপের ঔরসে এবং দনুর গর্ভে জাত দানব ভ্রাতৃদ্বয় শুম্ভ-নিশুম্ভের সঙ্গে যুদ্ধে দেবতারা পরাজিত হয়ে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হন এবং দেবী আদ্যাশক্তি ভগবতীর স্তব করতে থাকেন। ব্রহ্মা ওই দুই অসুরকে বর দিয়েছিলেন, কেবল পুরুষ সংসর্গহীন নারীই তাদের বধ করতে পারেন। হিমালয়ের শিখরে যুদ্ধক্ষেত্রে এসে শুম্ভ ও তার দুই সেনাপতি চণ্ডমুণ্ড এসে যেই দেবীর দিকে ধাবমান হলেন, অমনি ভগবতীর ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ হয়ে যাওয়া মুখের ভ্রূকুটিকুটিল কপাল থেকে নরমুণ্ডমাল্যভূষিতা, করালবদনা, শ্যামবর্ণা এক দেবী বেরিয়ে আসেন। তার জিহ্বা লেলিহান, মাংস শুষ্ক, নয়নদ্বয় রক্তবর্ণ। ভগবতী দেবী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন এবং সেই থেকেই তিনি কালিকা বা কালী নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে দেবীরা সমস্ত অসুরকে নিধন করতে সমর্থ হয়েছিলেন। রামকৃষ্ণ যে ‘কালী’র কথা বলেছেন, তিনি কে? রামকৃষ্ণ এক জায়গায় গেয়েছেন, ‘কালীর উদরে ব্রহ্মাণ্ড ভাণ্ড প্রকাণ্ড তা বুঝ কেমন।’ অর্থাৎ এই অস্তিত্ব বা মহাবিশ্ব বা ব্রহ্মাণ্ড যে বিপুল অন্ধকার তরঙ্গের মধ্যে ছিল, সে-ই হল ‘কালী। কালী ও ব্রহ্ম আসলে সমার্থক। রামকৃষ্ণ তাই বলেছেন, ‘কালীই ব্রহ্ম, ব্রহ্মই কালী!’ কালী বা ব্রহ্মের উদরেই লুকিয়ে ছিল ব্রহ্মাণ্ড। রামকৃষ্ণ অবশ্য একটা সূক্ষ্ম তফাতের কথা বলেছেন, “যখন নিষ্ক্রিয় বলে বোধ হয় তখন তাকে ব্রহ্ম বলি। যখন ভাবি সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় করছেন, তখন তাঁকে আদ্যাশক্তি বলি, কালী বলি। স্থির জল, ব্রহ্মের উপমা। জল হেলচে দুলচে, কালীর উপমা। অর্থাৎ ব্রহ্মের ভেতর লুকিয়ে থাকা প্রাণশক্তিই কালী, ব্রহ্মাণ্ড বা মহাবিশ্বের ভেতর যখন এর প্রকাশ, তখন সেই প্রাণশক্তিকেই আমরা বলি ঈশ্বর। নিষ্ক্রিয় ব্রহ্মার মধ্যে আদ্যাশক্তি আছে বলেই ঈশ্বরের জন্ম হয়, ঈশ্বরের মধ্যেই এই প্রাণশক্তি প্রসার ও স্থিতি লাভ করে। এই ঈশ্বর আবার সময়-নির্দিষ্ট। তাঁর জন্ম ও মৃত্যু রয়েছে। রামকৃষ্ণ বলেছেন, ‘কালই ব্রহ্ম। যিনি কালের সহিত রমণ করেন, তিনিই কালী, আদ্যাশক্তি। কিন্তু কীভাবে ঈশ্বরলাভ সম্ভব? রামকৃষ্ণ বলেছেন, ‘সত্যেতে থাকবে, তাহলেই ঈশ্বরলাভ হবে।’
আরও পড়ুন: ‘হাড়িকাঠের কান্না’য় যখন চোখ মেলি
কালীর গলায় যে মুণ্ডমালা থাকে, তা কিন্তু কালীর স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নয়। এটা বহু শক্তিদেবতার এক সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এমনকী শিবের রুদ্ররূপ কালভৈরবের কণ্ঠেও মুণ্ডমালা রয়েছে। কালীর কণ্ঠে মুণ্ডমালা থাকতেই হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা বোধহয় ছিল না। কারণ, কবি কালিদাসের কুমারসম্ভব কাব্যে কালী, ‘কপালভরণা’ অর্থাৎ নৃকরোটি নির্মিত অলংকার পরিহিতা, নৃমুণ্ডমালিনী নন। নৃমুণ্ডমালিনী কালীর অধুনা প্রচলিত রূপ প্রথম দেখা যায় বৃহৎ তন্ত্রসার নামের গ্রন্থে, যা দক্ষিণাকালীর ধ্যানমন্ত্র হিসাবে পরিচিত। দেবী চণ্ডিকা অসুর বিনাশের সময় অসুরিণীগণের শক্তিদান করেছিলেন যোগমায়ারূপে। চণ্ডমুণ্ড ও রক্তবীজ বধের সময় চণ্ডিকার ভ্রূকুটি থেকে কালীর উৎপত্তি। এই সময় অসুরিণীগণ দেবীপক্ষে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে কালীর গলায় মুণ্ডমালায় নারীর মুণ্ড নেই। ভারতে শক্তির আরাধনার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, চামুণ্ডা কালী থেকে পৃথক ছিলেন। খ্রিস্টীয় পঞ্চম-ষষ্ঠ শতকের পূর্বে এঁদের সমন্বয় ঘটেনি।
আরও পড়ুন: রানাঘাটের শরীরচর্চার ইতিহাস

কালীর গলায় ৫০টি মুণ্ড থাকে। প্রত্যেকটি এক একটি বর্ণ। এগুলি সংস্কৃত বর্ণমালার প্রতীক। বর্ণমালা শব্দব্রহ্মের বহিরঙ্গ প্রকাশ। তবে মূর্তিপূজা কালে দেবীপ্রতিমার গলায় ১০টি মুণ্ড থাকে। এই দশটি মুগুর প্রতীক হল, ষড়রিপু এবং জ্ঞান-বিবেক-বুদ্ধি ও ভক্তি। কালীর বাঁ-হাতে থাকে রক্তাসুরের মুণ্ড। এর রক্ত মাটিতে পড়ামাত্র সহস্র অসুর সৃষ্টি হয় বলে পুরাণে কথিত। তাই রক্ত যাতে মাটিতে পড়তে না পারে, সেজন্য শৃগাল সেই রক্ত পান করে। কালীমূর্তিতে এই দৃশ্য দেখা যায়। দেবী কালিকা সর্বদেবময়ী সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপিণী। যেহেতু প্রতিটি মুণ্ড এক একটি বর্ণের দ্যোতক, তাই প্রত্যেকটি মাতৃকাবর্ণই একটি বীজমন্ত্র, অর্থাৎ কোনও দেবতার সূক্ষ্মরূপ। মুণ্ডমালা মাতৃকাবর্ণের প্রতীক। কাজেই সকল দেবতা মা কালীর থেকে উদ্ভূত। সৃষ্টিপ্রপঞ্চে ব্যাপ্ত অনাহত নাদ এই ব্রহ্মাণ্ডের মৌলিক আধার। আর্য ঋষিগণ শব্দব্রহ্ম তত্ত্বের গভীর তলদেশ বিচার করে মহাশক্তির এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শাস্ত্রে মুণ্ডমালার আরও একটি ব্যাখ্যা আছে। দানবদলনী দেবী ধর্ম সংরক্ষণের জন্য সকল দুষ্কৃতিকারী দানব সংহার করেন এবং তাদের মুণ্ড দিয়ে মালা তৈরি করে গলায় পরেন। কালীর সঙ্গে যে দানবগণ যুদ্ধ করেছিলেন, তারা সকলেই ছিলেন পুরুষ। তাই নারী মুণ্ড সংগ্রহের সুযোগ বোধহয় ছিল না। কালীর মুণ্ডমালা বিবর্তনবাদের প্রতীকও বটে। নানা রঙের নরমুণ্ড ভিন্ন ভিন্ন জাতির উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের দিকে ইঙ্গিত করছে। কালী ধ্বংসের দেবী। শ্রীঅরবিন্দ লিখেছিলেন, বিশ্বলোকের রণরঙ্গিণী তিনি, সংগ্রামে কখনও পশ্চাদপদ নন। গীতায় শ্রীভগবান বলেছেন, ‘আমি লোকসংহারী কাল। কালী এই সংহারের মূর্ত বিগ্রহ।’ মৈথিল কবি বিদ্যাপতি তাঁর অনবদ্য বর্ণনা দিয়েছেন, “দিবস রজনী তোমার চরণ শব শোভিত, কত দৈত্যকে বধ করে মুখ মেলেছ, কতগুলিকে আবার উগরে ফেলেছ। কালো রঙের দেহে ওই রাঙা চোখ যেন যুগল লালপদ্ম, ওষ্ঠাধরে মাংস চর্বণের কট কট ধ্বনি, রক্তের ফেনায় উঠেছে বুদ্বুদ!’ মুণ্ডমালা এই সর্বাত্মক ধ্বংসের প্রতীকও বটে।
আরও পড়ুন: পিকাসোর আলো, পিকাসোর অন্ধকার
স্বামী বিবেকানন্দ মৃত্যুর মধ্যে মহাকালীর মাতৃত্বকে অনুভব করেছিলেন। তাঁর ‘মৃত্যুরূপা মাতা’ কবিতাটি পড়লে আতঙ্কে শিউরে উঠতে হয়। ১৯৪৫ সালে আমেরিকায় যখন বিশ্বের প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, নিকটতম সাক্ষী ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান। তাঁর অভিজ্ঞতা তারই ভাষায়, ‘প্রকাণ্ড একটা ধোঁয়ার বলয় পাক খেতে খেতে উপরে উঠে যাচ্ছে। ধোয়ার ওই কুণ্ডলীর উপরে কমলা রঙের একটা আগুনের বলয়, তার কিনারগুলো সিঁদুরে লাল। উপরে উপরে আরও উপরে উঠে গেল! অনাবিষ্কৃত একটা নগ্ন সত্য প্রকাশিত হল যেন। পারমাণবিক বন্ধনমুক্ত মহামৃত্যু। কালীর মধ্য দিয়েও মৃত্যুর মহাসত্য প্রকাশিত হয়েছে এবং তা আক্ষরিক অর্থেই নগ্ন।
আরও পড়ুন: ৭৮ বছর পরেও আলোচনার বৃত্তে নেই রানি অফ ঝাঁসি ব্রিগেড
কার্তিক মাসে কালীপূজার ব্যবস্থা খুব প্রাচীন বলে মনে হয় না। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর পুত্র ও পৌত্র দীপান্বিতা কালীপূজা প্রচারের জন্য প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন। কৃষ্ণচন্দ্র হুকুম দিয়েছিলেন, তাঁর প্রত্যেক প্রজাকে এই পূজার অনুষ্ঠান করতে হবে, অন্যথা গুরুতর দণ্ডের ব্যবস্থা হবে। এই নির্দেশের ফলে নদিয়া জেলায় প্রতি বছর দেওয়ালি উপলক্ষে দশ হাজার কালীপূজা হত। কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র রায় দীপান্বিতা কালীপূজা উপলক্ষে কখনও কখনও হাজার হাজার মন মিষ্টি, হাজার হাজার শাড়ি ও অন্যান্য দ্রব্য উৎসর্গ করতেন। অন্যান্য খরচ বাদেও তার প্রায় বিশ হাজার টাকা ব্যয় হত। কাশীনাথ তর্কালঙ্কার ১৭৭৭ সালে রচিত তাঁর ‘শ্যামাসপর্যাবিধি’ বইতে নানা প্রমাণ সহযোগে কার্তিকী অমাবস্যা তিথিতে কালীপূজার অবশ্যকর্তব্যতা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। শোনা যায়, কালীকে খুশি করার জন্য অনেক পশুবলি দেওয়া হত, মাঝেমাঝে নরবলিও হত। কালীঘাটে কালীর সামনে একজন নিজের জিভ বলি দিয়েছিল। এই সংবাদ ১৮২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ওই পত্রিকায় ১৮২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় কালীঘাটের কালীর এক আড়ম্বরপূর্ণ পূজার বিবরণ রয়েছে। মহারাজ গোপীমোহন ঠাকুর বহু স্বর্ণালংকার ও বিবিধ উপকরণের সাহায্যে এই পূজার ব্যবস্থা করেছিলেন। এর আগে মহারাজ নবকৃষ্ণ দেব দেবীকে সোনার মুণ্ডমালা দিয়েছেন। নবকৃষ্ণ কালীঘাটের কালীমন্দিরে পূজা উপলক্ষে একবার লক্ষ মুদ্রা ব্যয় করেছিলেন। খিদিরপুরের জয়নারায়ণ ঘোষাল ব্যয় করেছিলেন পঁচিশ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: বনলতা সেন: ক্লান্ত ও বিষণ্ণ প্রেমিকের শোকগাথা

এর প্রাচীনতা যাই হোক, দীপান্বিতা কালীপূজা আজ বাংলাদেশে এক মস্ত বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাংলার বাইরে দেওয়ালি ও বাংলায় কালীপূজা, এই দুইয়ের সমন্বয়ে এই উৎসব পরিপুষ্টিলাভ করেছে। দেওয়ালি, দীপাবলি বা দীপান্বিতা, কারণ দীপমালায় ঘরকে সাজিয়ে তোলা, বাজির শব্দে ও আলোয় চারদিক মুখরিত ও আলোকিত করে তোলা এই উৎসবের অঙ্গ। বলা হয়, রাবণকে বধ করে রাম অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করলে প্রজাগণ যে আন্দোৎসবের আয়োজন করে, তাই স্মরণ ও অনুকরণ করে আজ পর্যন্ত ভারতবাসী এই উৎসব পালন করে আসছে। পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ গ্রহণের জন্য যমলোক থেকে আগত পিতৃপুরুষের প্রত্যাবর্তনের পথপ্রদর্শনার্থে এই দিন উল্কা প্রজ্বলিত হয়। এই প্রথাই কালক্রমে বাজিপোড়ানো প্রথায় পরিণত হয়ে থাকতে পারে। দেওয়ালি উপলক্ষে দীপদানের উৎসব এক দিনের উৎসব নয়। কোনও কোনও জায়গায় সপ্তাহখানেক ধরে দীপদানের রীতি দেখা যায়।
খুব সুন্দর,তথ্যবহুল রচনা।