জন্মদিনে মোহন জয়ী হতে ব্যর্থ কিবু ভিকুনা

সায়ন ঘোষ
তিনি সদ্য প্রাক্তন মোহনবাগান কোচ। তাঁর উপর গত মরশুমে দুর্দান্ত ফুটবল খেলিয়ে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। তারপরেও তাঁকে রাখেনি এটিকে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। এদিন জবাবটা দিতেই পারতেন কিবু ভিকুনা। তাঁর জন্মদিনে প্রাক্তন টিমকে হারিয়ে দেবার মশলা ছিল। কিন্তু ব্যর্থ। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের একটা মাস্টার স্ট্রোকের সামনেই কাত কেরালা ব্লাস্টার্স। করোনা পরবর্তী সময়ে আজ মরশুমের প্রথম ম্যাচে দু-দলের মধ্যে জড়তার ছাপ ছিল স্পষ্ট। এদিন হাবাস দল সাজিয়েছিলেন ৩-৫-২ ছকে। গোলে অরিন্দমের সামনে ডিফেন্সে রাখেন প্রীতম, সন্দেশ, তিরিকে। মাঝমাঠে এডু গার্সিয়া, ম্যাকহিউ, সুসাইরাজ (বাম উইং), প্রবীর দাস (ডান উইং) ও প্রণয় হালদার। সামনে রয় কৃষ্ণা ও এডু গার্সিয়া। অন্যদিকে, কিবু দল সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে।
আরও পড়ুন: সোনারপুরে আই লিগ ট্রফি সহ শোভাযাত্রা
প্রথমার্ধে রয় কৃষ্ণা শিক্ষানবীশ ঢঙে সহজ গোলের সুযোগ মিস করেন। কেরালার স্ট্রাইকার গ্যারি হুপারকে কার্যত বোতলবন্দি করে রাখলেন তিরি ও সন্দেশ। তবে প্রথমার্ধে সুসাইরাজ চোট পেতে পরিকল্পনা কিছুটা ধাক্কা খায় হাবাসের। কেরালার দুই ডিফেন্ডারের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবটা চোখে পড়ছিল। সামাদ চেষ্টা করলেও তাঁকে বিপজ্জনক হতে দেননি ম্যাকহিউ আর প্রণয়। দ্বিতীয়ার্ধে মাস্টার স্ট্রোক হাবাসের। মিডফিল্ডার প্রণয়কে তুলে স্ট্রাইকার মনবীরকে নামানো। ৬৭ মিনিটে কোস্টাকে ডজ করে মনবীর বল বাড়ালে সেই বল থেকে রয় কৃষ্ণার ফিনিশ করে স্কোর লাইন ১-০ করেন।

এদিনের ম্যাচে মোহনবাগানের দুই উইংকে কিছুটা নিস্তেজ লেগেছে, তবে হাবাস তা শুধরে নেবার জন্য ৭ দিন সময় পাবেন। কারণ ২৭ তারিখ এটিকে মোহনবাগান নামছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে। ডার্বির আগে এই ম্যাচ জিতে মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়ে রইলো রয় কৃষ্ণারা।

ছবি আইএসএল