মোটেই নিরাপদ নয় কোভিশিল্ড, মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের

Mysepik Webdesk: এই মুহূর্তে ভারতে চলছে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ। সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভাসাসিনটি বর্তমানে প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের প্রধান করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার তথা সেরাম ইনস্টিটিউটের দাবি, এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে মানব শরীরের জন্য নিরাপদ। এই ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কিন্তু এই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি নিয়েই সম্পূর্ণ উল্টো মতামত জানালো মাদ্রাজ হাইকোর্ট। চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবকের করা মামলার ভিত্তিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি মোটেই নিরাপদ নয়, এমনটাই ঘোষণা করা হোক।
আরও পড়ুন: পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে কুম্ভমেলা, রেজিস্ট্রেশনের জন্য বাধ্যতামূলক করোনা রিপোর্ট

সূত্রের খবর, গত বছর ১ অক্টোবর, কোভিশিল্ড টিকার ট্রায়াল রানের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৮১ বছর বয়সী ওই মামলাকারী ব্যক্তি। তিনিই জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রানের সময় তার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তাই কোভিশিল্ড ভাসাসিনকে অবিলম্বে ‘নিরাপদ নয়’, এমন প্রতিষেধক হিসেবে ঘোষণা করা হোক। ওই স্বেচ্ছাসেবক তাঁর পিটিশনে দাবি করেছেন, তাঁকে অবিলম্বে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে চেন্নাইয়ের ওই যুবকের বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম জানিয়েছে, ওই যুবকের দাবি সঠিক নয়। কোভিশিল্ড সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ। চেন্নাইয়ের ভদ্রলোকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অপ্রীতিকর।
আরও পড়ুন: ফের করোনা সারানোর নয়া ওষুধ নিয়ে হাজির রামদেব বাবা

প্রসঙ্গত, সিরাম ইনস্টিটিউট ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুত করেছে এই কোভিশিল্ড নামক ভ্যাকসিনটি। ভারতে এই প্রতিষেধকেই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ডিজিসিআই। প্রথম পর্যায়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারী থেকে দেশের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ব্যক্তিদের করোনার টিকা হিসেবে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে। আর তার মাঝেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের এহেন নির্দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে।