Mysepik Webdesk: লাদেনকে ধরতে আমেরিকা যে প্রজাতির কুকুর ব্যবহার করেছিল, সেই প্রজাতির কুকুর আসছে এবার সুন্দরবন পাহারা দিতে। জানা গেছে, সুন্দরবনের চোরাশিকারিদের ধরতে ‘কায়রোর’ প্রজাতির কুকুরের স্বজাতি কুকুর ‘সায়ানা’ আসছে বন দফতরের সারমেয় বাহিনীতে যোগ দিতে। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা শনিবার জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে বিএসএফ পরিচালিত ‘ন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টার ফর ডগস’-এ একটি সফল প্রশিক্ষণ পর্বের শেষে শনিবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে সায়ানা এবং অরল্যান্ডো নামে আরও একটি ম্যালিনয়।
আরও পড়ুন: সুশান্ত মামলায় নতুন বয়ান, রিয়া চক্রবর্তীর পর থানায় পৌঁছল এই ব্যক্তি
রবিবার গভীর রাতে সেগুলি সল্টলেকের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে পৌঁছেছে। সেখান থেকে সায়নাকে সুন্দরবনে এবং অরল্যান্ডোকে উত্তরবঙ্গের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হবে। রবিকান্ত আরও বলেন, ‘‘এবারের ব্যাচে বিএসএফের ট্রেনিং সেন্টারে মাস ছয়েক ধরে প্রায় ৪০টি কুকুর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সায়ানা তাদের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে।’’ এই প্রজাতির কুকুর প্রসঙ্গে রবিকান্ত জানান, “বুদ্ধিমত্তা এবং কমর্দক্ষতার ভিত্তিতে বিশ্বে এই প্রজাতির কুকুরের জুড়ি মেলা ভার। এদের পরিশ্রম করার ক্ষমতাও অনেক। এরা দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাই এবার সুন্দরবনেও এদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ফের বাড়লো পেট্রল-ডিজেলের দাম, এই নিয়ে একটানা ১৬ দিন
রাজ্যের বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে প্রথম করিম নামে গোয়ালিয়রে প্রশিক্ষিত একটি ম্যালিনয় পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের কাজে যোগ দিয়েছিল। এর আগেও রানি নামে একটি জার্মান শেফার্ড ছিল তাদের। করিমের ভালো পারফরম্যান্স দেখে পরবর্তীকালে আরও দু’টি ম্যালিনয় নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে করিম-সহ দু’টি বক্সা ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় এবং একটি গরুমারায় রয়েছে। সায়ানা এবং অরল্যান্ডো যোগ দিলে ১০ সদস্যের সারমেয় বাহিনীতে ম্যালিনয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট পাঁচটি। শুধু চোরাশিকারি ধরা নয়, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ ও বন্যপ্রাণ চোরাচালান রুখতেও সায়নাকে ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি, এদেরকে কাজে লাগানো হবে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রাম লাগোয়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া বাঘ, হরিণ, বুনোশুয়োরদের সন্ধানেও।