Mysepik Webdesk: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা বৈঠকে আজ থাকবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সভাঘরে স্পষ্টই জানান, এরপরের বৈঠকে থাকছেন না মমতা। বলেন, “আমার সঙ্গে অত রাজনীতি করা উচিত নয়”। মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ হানলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানিতে বাধা! ছুরির আঘাতে খুনের চেষ্টা কিশোরীকে
বুধবার কেন্দ্রের ডাকা অমৃতমহোৎসবের বৈঠকের কথাও ওঠে। মমতার মন্তব্য, ‘‘ভারত সরকার যা করছে করুক, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা আমাদের মতো করব। ঋষি অরবিন্দের জন্য ওই একই কমিটি। আমাদের কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সব সিদ্ধান্তই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার নতুন করে বলার কিছু নেই। কালকে বলতে দিলে আমি বলতাম। কিন্তু আগামিকাল যে বৈঠকটি আছে, সেটা শুধু একজনের উপরে। যেটা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরে ফেলেছি। সুতরাং আগামিকাল আমি থাকছি না। প্রতিদিন হয় না।’’
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই বাড়ল দেশের করোনা গ্রাফ
দিলীপের মন্তব্য, “এটা তো কোনও নতুন বিষয় নয়। দিদির টাকার দরকার নেই এখন। টাকার প্রয়োজন হলেই ঠিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। এ আর নতুন কী! উন্নয়নের জন্য ডাকা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির সঙ্গে দেখা করেন না। বিপদে পড়লেই মোদির শরণাপন্ন হন মমতা। সব পাবলিসিটি স্টান্ট!”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলার শিল্পী মহল। গতকাল স্বাধীনতার ৭৫ বছরের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে বাংলার তাবর শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী থেকে শুরু করে কবি সাহিত্যিক জয় গোস্বামী, চিত্র শিল্পী যোগেন চৌধুরী সকলেই উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে শিল্পী যোগেন চৌধুরী প্রথম প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। এবং প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে না দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি অভিযোগ করেছেন স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয়নি।