মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে রাস্তায় মায়ের অনশন

Mysepik Webdesk: মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এক মা। মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছিলেন কিন্তু তাতে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে অনশনে দাঁড়িয়েছেন ওই নির্যাতিতার মা। রবিবার বেলা ১১টায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে তিনি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অনশনে বসেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সময় খারাপ চলছে ট্রাম্পের, নির্বাচনে হারের পর বিবাহ বিচ্ছেদের পথে মেলানিয়া
ওই কিশোরীর মা বলেন, গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার আগে ১০ অক্টোবর ওই কিশোরীর মা ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যায়। ওই দিন তিনি ঢাকা থেকে ফিরতে পারেননি। এ সুযোগে পরদিন ১১ অক্টোবর সকাল ৬টায় পাশের বাড়ির অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম (৫০), আশু এবং জোবাইল তার কিশোরী মেয়েকে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে এবং ধর্ষণ চেষ্টা করে। মেয়েটি চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি এ ঘটনার কথা কাউকে না বলতে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তবে পরদিন ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় একই কায়দায় কিশোরীকে জোরপূর্বক একই ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিশোরী চিৎকার করলে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে কারো কাছে কিছু বললে কিশোরীকে খুন করার হুমকি দেয়। পরে কিশোরী পুরো ঘটনাটি তাঁর মেয়ে এক স্বজনের কাছে খুলে বলে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প হোয়াইট হাউস না ছাড়লে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব: জো বাইডেন
পরেদিন ১৮ অক্টোবর তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে মেয়ে ও স্বজনের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। ওই মহিলা বলেন, ‘এ সময় বেলাল হোসেন নামের এক এসআই আমাকে গালিগালাজ করে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি বারবার বোঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। সেদিন ওই এসআইয়ের টেবিলে অভিযোগ রেখে চলে আসি।’
রবিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্ল্যাকার্ড হাতে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে তাঁর কিশোরী মেয়ের নির্যাতনের বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিত কিশোরীর মা’কে থানায় এনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন তাঁর কথা শুনে অভিযোগ নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এমনকি দুপুরের তাঁর জন্য খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থাও করেন।