নেতাজির ভাইজি চিত্রা ঘোষের প্রয়াণ, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

Mysepik Webdesk: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইজি এবং শরৎচন্দ্র বসুর কনিষ্ঠ কন্যা চিত্রা ঘোষ বৃহস্পতিবার কলকাতায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী চিত্রা ঘোষের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করেছিলেন। সেই বৈঠকে তিনি চিত্রা ঘোষের সঙ্গে মহান দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, “অধ্যাপক চিত্রা ঘোষ শিক্ষাগত ও কমিউনিটি সার্ভিসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সম্পর্কিত গোপনীয় দলিল সহ আরও কয়েকটি বিষয়ে যে মুহূর্তগুলি কাটিয়েছি, সেসব কথা মনে পড়ছে। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি।”
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে অন্য আতঙ্ক বার্ডফ্লু! রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র
বেথুন কলেজ থেকে শুরু হয়েছিল তাঁর দীর্ঘ শিক্ষণ কর্মজীবন। তাছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি কলকাতার লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপকও ছিলেন। এ ছাড়া তিনি কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন বিভাগের একজন ভিজিটর লেকচারারও ছিলেন।
আরও পড়ুন: আজ প্রথম দফায় রাজ্যে আসছে বহু প্রতীক্ষিত নভেল করোনাভাইরাসের টিকা

পরে তিনি নেতাজি ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজের সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস বিষয়ের অধ্যাপক হন। তিনি সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নয়নের জন্যও ব্যাপকভাবে কাজ করেছিলেন। চিত্রা ঘোষ ‘রাইটস অ্যান্ড অব্লিগেশন অফ ইন্ডিয়ান ওমেন’, ‘ওমেন’স স্টাডিস ইন ইন্ডিয়া’, ‘ওমেন অ্যান্ড পলিটিক্স ওয়ার্ল্ড ওয়াইড (আইপিএসএ)’, ওমেন’স মুভমেন্ট পলিটিক্স ইন বেঙ্গল’, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অফ থাই ওমেন’ (১৯৯০)’, ‘ওপেনিং অফ ক্লোজড উইন্ডোজ’ (২০০২) সহ বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। উল্লেখ্য যে, এহেন মানুষটির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে কলকাতার কেওড়াতলা শ্মশানে।