Mysepik Webdesk: খেজুর কেবল মা এবং শিশুর জন্য নিরাপদই নয়, পাশাপাশি এটি শিরিরে জন্যও উপকারী। যখন চিকিৎসাসেবা এতটা সহজলভ্য ছিল না, তখনও কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ছিল। খেজুরের মধ্যে ফ্রুক্টোজ থাকে যা দ্রুত ভেঙে যায় এবং কারও রক্তে শর্করার মাত্রা পরিবর্তন না করে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। কারণ খেজুরের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্সেটিভ যা জরায়ুর সংকোচনে সহায়তা করে এবং প্রসব শ্রমকে সহজ করে।
আরও পড়ুন: রোজ রাতে রুটি খাওয়ার উপকারিতা
১. ফোলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়ের গ্রহণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুলির মধ্যে একটি। এটি বাচ্চাদের মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের জন্মগত ত্রুটিগুলি প্রতিরোধ করে।
২. গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সাধারণ একটি সমস্যা। খেজুর খেয়ে এটি প্রতিরোধ করতে পারেন। খেজুরের মধ্যে থাকা উচ্চ পরিমাণের ফাইবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। খেজুর শরীরের মধ্যে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও হ্রাস করে।
৩. একজন গর্ভবতী মায়ের সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য প্রসবের আগে এবং প্রসবের সময় অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই খেজুর খেতে বলা হয়। কারণ খেজুরে থেকে নিউট্রিয়েন্টস গর্ভবতী মায়ের শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়ায়।
আরও পড়ুন: করোনামুক্তির পর চুল পড়ার সমস্যা হচ্ছে? জানুন সহজ সমাধান
৪. খেজুরে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেটস। এছাড়াও এই ফলে গ্লুকোজও থাকে পর্যাপ্ত, যা গর্ভাবস্থায় ধরে রাখা খুব বেশি জরুরি। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই।
৫. সন্তান প্রসবের সময় অনেক বেশি রক্ত ক্ষরণ হয়। এর ফলে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পরে। গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে নিয়ম করে খেজুর খেলে তা শরীরে দ্রুত রক্ত উৎপাদন করে।
৬. খেজুরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড প্রসবের সময়ে সারভাইক্যাল মাসল ফেলিক্সিবল করে তোলে, যে কারণে প্রসব বেদনা অনেকটাই কম অনুভূত হয়।
৭. গর্ভাবস্থার পয়ত্রিশ সপ্তাহ পর থেকে প্রতিদিন ছয়টি করে খেজুর খেলে তা মা ও অনাগত শিশুর জন্য বেশ উপকারী হয়। সেইসঙ্গে সন্তান জন্ম দেওয়াও অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এর ফলে সার্ভিক্স অনেক বেশি মজবুত হয়, যে কারণে সন্তান প্রসব করা অনেক সহজ হয়।