পুজো মানেই খাওয়াদাওয়া, কী কী থাকতে পারে সেই লিস্ট দেখে নিন একনজরে

Mysepik Webdesk: পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজো মানেই নানান প্ল্যান। পুজো মানেই ঠাকুর দেখা, বয়ফ্রেন্ডের কিংবা গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘোরা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া আরও কত কী। পুজো মানেই ডায়েট ভুলে কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া। কিন্তু এবারের পুজো অন্যবারের থেকে অনেক আলাদা। কারণ একটাই করোনা। তাই এবারে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বাড়ির বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়ার কোথায় বলছেন। তবে পুজোর সময়ে ঘুরতে বেরিয়ে হাতের কাছে যেসব খাবারগুলো সহজেই পায়ে যাবেন, একনজরে দেখে নিন—
আরও পড়ুন: পুজোর দিনগুলোতে বাইরে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কি বলছেন বিশেষজ্ঞেরা? জেনে নিন
১) ফুচকা: এটি এমন একটি খাবার, যা ছোট থেকে বড় সকলের বেশ পছন্দের। ফুচকার চাহিদা সারাবছরই থাকে, তবে পুজোর সময় ফুচকার ক্রেজ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পুজোর সময়ে রাস্তার ধরে সারিসারি ফুচকার গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এখন তো ফুচকাতেও থাকছে নানান অপশন। দই ফুচকা থেকে শুরু করে চাটনি ফুচকা, এমনকী জেলি ফুচকাও এখন অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। সুতরাং পুজোর সময় খাবারের লিস্টে রাখতেই পারেন ফুচকা।

২) পাপড়ি চাট: আর আপনার যদি টক, ঝাল, মিষ্টি সব স্বাদ একসঙ্গে খেতে পছন্দ করেন তাহলে খেতে পারেন পাপড়ি চাট। এই খাবারটি ফুচকার মতোই বেশ লোভনীয় সেইসঙ্গে খেতেও বেশ ভালো। ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে সুস্বাদু পাপড়ি চাট পেয়ে যাবেন। যা খেয়ে পেট খুব বেশি না ভরলেও মন ভরাবেই।
আরও পড়ুন: দুধের সঙ্গে যেসব খাবার খাওয়া ঠিক নয়

৩) রোল: সস্তায় পুষ্টিকর বলতে যা বোঝায়। পুজোতে এই রোলের চাহিদা থাকে প্রায় সর্বত্র। ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন এগরোল। একটা এগরোল খেলেই মোটামুটি পেট ভরে যায়। তবে শুধু এগরোল নয় এছাড়াও আছে মটন রোল, চিকেন রোল, পনির রোল, কিমা রোল, কাবাব রোল, ভেজ রোল আরও অনেক কিছু। পছন্দমতো একটা রোল বেছে নিন আর পুজোর ভূরিভোজটা সেরে নিন। সুতরাং পুজোর মধ্যে রোল খাবারের লিস্টে রাখতেই পারেন।
৪) চাউমিন: অন্যান্য খাবারের মতোই চাউমিনও সারাবছরেই পাওয়া যায়। তবে পুজোর সময় বন্ধুদের আড্ডা দিতে দিতে চাউমিন খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। চাউমিন পেটও ভরায়। আর এই চাউমিনেও থাকে নানান রকমের ভ্যারাইটি। ভেজ চাউমিন থেকে শুরু করে, এগ চাউমিন, চিকেন চাউমিন বা মিক্স চাউমিন যেটা আপনার পছন্দের, সেটাই খেতে পারেন। রাস্তার ধারে স্টলে কিংবা বড় কোনও রেস্তোরাঁ সব জাগাতেই এই খাবারটি পাওয়া যায়। মোটামুটি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা এমনকী তার বেশি দামেও চাউমিন পেয়ে যাবেন।

৫) মোমো: রাস্তার ছোট দোকান থেকে শুরু করে শহরের বড় বড় রেস্তোরাঁতে এই খাবারটি দেখা যায়। মোমো অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। আপনি যদি পছন্দ করেন তাহলে তো কথাই নেই। আর যদি পছন্দ নাও করেন, তবে পুজোতে একবার খেয়ে দেখতেই পারেন। মোমোতে তেল মশলা তেমন না থাকায় এটা শরীরের পক্ষে তেমন ক্ষতিকর নয়। তাই আপনার পছন্দের তালিকাতে রাখতেই পারেন মোমো।

৬) চিকেন পকোড়া: চিকেনের বেশিরভাগ আইটেমের মধ্যে চিকেন পকোড়া অনেকেই পছন্দ করেন। এটি বেশ চটজলদি খাওয়াও যায়, আবার বেশ মুখরোচকও। গরম চা বা কফির সঙ্গেও চিকেন পকোড়া খেতে পারেন। তাই এই খাবারটি লিস্টে রাখতেই পারেন।

৭) সরবত: পুজোমণ্ডপে ঘুরতে ঘুরতে গলা শুকিয়ে গেলে এক গ্লাস শরবত পান করে গলা ভিজিয়ে নিতেই পারেন। শরবতের যেকোনও দোকানে গেলে আপনি নানান রকমের শরবত পেয়ে যাবেন। মুসম্বির শরবত থেকে শুরু করে আম, অরেঞ্জ, স্ট্রবেরি, টক দই সব রকমের শরবতই পেয়ে যাবেন। মোটামুটি ১০০ টাকা শুরু করে ১০০০ টাকা সব দামেই পেয়ে যাবেন শরবত। তাই পুজোর খাবারের লিস্টে রাখতেই পারেন শরবত।

৮) আইসক্রিম: সব শেষে পাতে যে খাবারটি থাকবেই, সেটি হল আইসক্রিম। আর পুজোর সময়েও তো সেটি থাকবেই। রাতের বাড়িতে ফেরার আগে কিংবা ঘুরতে ঘুরতে যেকোনও সময়ে আইসক্রিম খেতে পারেন। রাস্তার ধারের স্টল থেকে শুরু করে বড় বড় দোকানে বিভিন্ন ভ্যারাইটির আইসক্রিম পেয়ে যাবেন। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা বা তার বেশি দামেও পেয়ে যাবেন আইসক্রিম।

- বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: বিশেষজ্ঞরা করোনাকালে রাস্তার খাবার বা বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার কথা বলছেন।