সরকারিভাবে প্রকাশিত হল পুজোর গাইড লাইন, থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ

Mysepik Webdesk: করোনা আবহের মধ্যে অন্যান্য বছরের মতো আর এবছর দুর্গোৎসব পালন করা সম্ভব হবে না। তবে নবান্ন থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া হলেও সেক্ষেত্রে পুজো উদ্যোক্তা এবং দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে একগুচ্ছ স্বাস্থ্য বিধি। সোমবার নবান্ন থেকে প্রকাশিত ওই ১১ দফা স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে জানানো হয়েছে পুজোর সময় কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী কী রয়েছে সেই নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন: ৪ অক্টোবর থেকে রবিবারেও চলবে কলকাতা মেট্রো, বাড়ানো হয়েছে সংখ্যাও
১) এবছর পুজোর আয়োজন করতে হবে খোলা মাঠে। পাশাপাশি মণ্ডপের আশেপাশে খোলা জায়গা রাখতে হবে। মণ্ডপ ঘেরা থাকলেও ছাদ খোলা রাখতে হবে। মণ্ডপে ঢোকার এবং বেরনোর গেট আলাদা রাখতে হবে।
২) প্রত্যেক দর্শনার্থীকে মাস্ক পরে মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে। সঙ্গে মাস্ক না থাকলে পুজো পরিচালন কমিটিকে সেই দর্শনার্থীকে মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও। নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্যান্ডেল স্যানিটাইজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হচ্ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৩) মণ্ডপের মধ্যে বেশ ভিড় জমতে দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে ভিড় সামলাতে মণ্ডপের ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমান স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। তাদেরকেও মাস্ক পরতে হবে।
৪) পুজোর অঞ্জলি দেওয়া কিংবা সিঁদুর খেলার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি ফুল বেলপাতা মণ্ডপ থেকে দেওয়া হবে না। সেগুলি বাড়ি থেকেই আনতে হবে। পুরোহিতকে আঞ্জলির মন্ত্র লাউড স্পিকারে পড়তে হবে যাতে মণ্ডপের আশেপাশে সবাই সেই মন্ত্র শুনতে পান।
৫) এবছর পুজো মণ্ডপের আশেপাশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা চলবে না। যেকোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে শেষ করতে হবে।
৬) সাধারণ মানুষকে করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে সাবধান করার জন্য পুজো কমিটিকে লাগাতার মাইকে প্রচার চালাতে হবে।
আরও পড়ুন: নদিয়ার হরিণঘাটায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শ্বশুর বাড়ির সামনে সপরিবারে ধর্না যুবকের
৭) পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জনের সময় বেশি লোক জড়ো করা যাবে না। এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জনের আগে জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে।
৮) মূল পুজোর দিনগুলিতে ভিড় এড়াতে দর্শনার্থীরা তৃতীয়া থেকেই ঠাকুর দেখতে পারবেন।
৯) উদ্যোক্তাদের পুজোর অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
১০) এবছর রেড রোডে কার্নিভাল বাতিল হয়েছে। ফলে প্রতিমা বিসর্জনের দায়িত্ব পুজো কমিটিকেই নিতে হবে।
১১) এবার পুজোতে কমিটিগুলিকে দমকল ও পুর কর দিতে হবে না। পরিবর্তে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান হিসাবে মিলবে ৫০ হাজার টাকা মিলবে।