মোদি সরকারের কথায় ভরসা নেই, সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী

Mysepik Webdesk: কেন্দ্র বলছে, সীমান্তে উত্তেজনা কমছে। ভারত-চিন দু’পক্ষের আলোচনায় দুই দেশই রাজি হয়েছে সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের মুখের কথায় বিন্দুমাত্র ভরসা নেই, তাই লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে স্বশরীরে লাদাখ যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেই কারণেই ৩০ সদস্যের প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রাহুল গান্ধী ছাড়াও রয়েছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত, এসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার প্রমুখরা।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর বাজি কারখানায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, প্যাংগং হ্রদের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর এলাকা থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে দু’পক্ষ আলোচনা শুরু করেছে। তাঁর কথায় ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, ওই আলোচনায় দু’পক্ষই ওই এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সেই দাবি মানতে নারাজ রাহুল গান্ধী। সেই কথার সূত্র ধরে রাহুল গান্ধী জানান, “মোদী সরকার ভারতের একটি অংশ চিনের হাতে তুলে দিয়েছে এবং বিরোধীদের এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন করতে দিচ্ছে না।” এর পরেই সীমান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যাওয়ার জন্য ওই কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ধৃত লস্কর-ই-তইবার সন্ত্রাসবাদী

লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্যকে ঘিরে একাধিকার আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে বিরোধী শিবির। রাহুলের দাবি, কেন্দ্রের বক্তব্য এবং স্যাটেলাইট চিত্রে পাওয়া ছবির মধ্যে কোনও মিল নেই। কারণ, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে প্যাংগং হ্রদের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর এলাকায় এখনও চিন সেনার অস্তিত্ব রয়েছে। সূত্রের খবর, মে-জুন মাস নাগাদ এই কমিটি লাদাখ সফরে যেতে পারে। যদিও এই বিষয় নিয়ে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করেনি বিরোধী শিবির।