শুক্রগ্রহে মিলল ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব, প্রাণের অস্তিত্বের আশায় বিজ্ঞানীরা

Mysepik Webdesk: মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ তো চলছিলই, তার মধ্যেই মহাকাশ বিজ্ঞানীরা শুক্রগ্রহে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্বের প্রমান পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদিও এখনও সেখানে প্রাণের সন্ধান সেভাবে পাওয়া যায়নি তবুও এই ঘটনায় গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জেনে নিন, কীভাবে ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহার করবেন

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকা শুক্রগ্রহকে ঘিরে থাকা মেঘের মধ্যে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন। সোমবার সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ব্রিটেনের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেন গ্রিভস ও তার সহকর্মীরা হাওয়াই থেকে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রথমে শুক্র গ্রহ ঘিরে থাকা মেঘের মধ্যে ফসফিনের অস্তিত্ব লক্ষ্য করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াই ফাই ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড থেকে পিন ছাড়াই টাকা লেনদেন করা যায়, সতর্ক হন

এরপর চিলির আটাকামা থেকে রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে ফের আরও একবার পরীক্ষা করা হয়। সেক্ষেত্রেও একই ঘটনা লক্ষ করা গিয়েছে। এরপরেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়ে যান, শুক্রগ্রহে ফসফিন রয়েছে। এরপরেই শুক্রে প্রাণের অস্তিত্বের বিষয়টি নিয়ে আরও আগ্রহ দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব পৃথিবীতেও জীবিত প্রাণির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যাপ ছাড়াই ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার উপায় জেনে নিন

এই প্রসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক গ্রিভস বলেছেন, “শুক্রের মেঘে ফসফিন ভাসতে দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এই গ্যাস শিল্প কারখানায় তৈরি করা যায়, কিন্তু শুক্র গ্রহে কোনও কারখানা নেই এবং নিশ্চিতভাবেই পেঙ্গুইন নেই। তাহলে কেন গ্যাসটি সেখানে, গ্রহটির ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার উপরে? এই পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও জীবনের সন্ধান পেতে আমি সারা জীবন আগ্রহী ছিলাম। তাই এমন সম্ভাবনা দেখে আমি যারপরনাই আনন্দিত।”
আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে খনিজ পদার্থের সন্ধান করবে নাসা

এএফপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফসফিন গ্যাস সাধারণত প্রাণের অস্তিত্ব থাকার ইঙ্গিত দেয়। একটি ফসফরাসের অনুর সঙ্গে তিনটি হাইড্রোজেন অনু যুক্ত হলে ফসফিন গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাস মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। বিবর্ণ এই গ্যাসের গন্ধ রসুন এবং পচে যাওয়া মাছের গন্ধের মতোই উগ্র। সাধারণত এটি ব্যাকটেরিয়া অথবা ক্ষয়ে যাওয়া জৈব পদার্থ থেকে উৎপন্ন হয়।
আরও পড়ুন: উষ্ণায়নের প্রভাবে আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই আগুনের গোলায় পরিণত হবে পৃথিবী

তবে শুক্রগ্রহের যা তাপমাত্রা তাতে জীবন টিকে থাকার পক্ষে যথেষ্ট কঠিন। বিজ্ঞানীদের মতে শুক্রগ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৪৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর এই তাপমাত্রায় সীসার মতো শক্ত ধাতব পদার্থ গোলে যায়। তাহলে সেখানে কীভাবে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব? সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফসফিনের উপস্থিতি শুক্রে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমান দেয়না।