উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়: নিশ্চিত মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখে এ যাত্রায় বেঁচে ফিরলেন দু’জন

Mysepik Webdesk: প্রকৃতির ভয়ঙ্কর তান্ডবলীলা প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬ জন। কিন্তু একদিকে যখন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, অন্যদিকে অবশ্য কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা গিয়েছে। হিমবাহ ফাটলের জেরে ভয়াল ধসের কবলে পড়েও সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন দু’জন ব্যক্তি। ধসের মধ্য থেকে জীবন্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের দেহে রয়েছে প্রাণের স্পন্দন। একথা জানিয়েছেন চামোলির জেলাশাসক স্বাতী ভাদোরিয়া।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের ঋষিগঙ্গার জল বাড়ছে, আপাতত বন্ধ উদ্ধারকার্য

অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২০৪ জন। শুধুমাত্র তপোবন সুড়ঙ্গে ৩০ জনের মতো আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা আদৌ জীবিত রয়েছেন কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য। রবিবার থেকেই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এসডিআরএফ, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে উদ্ধারকার্যে হাত মিলিয়েছে ভারতীয় সেনাও।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় লোকদল কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে রাজস্থানে পা রাখতে চায়!

এদিকে তপোবন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া নিখোঁজ ব্যাক্তিদের খোঁজার জন্য সুড়ঙ্গ খোঁজার কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ঋষিগঙ্গা নদীর জল বাড়ায় উদ্ধারকাজ থমকে গিয়েছে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লাখ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিপর্যয় তহবিলের পক্ষ থেকে আরও ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও গুরুতর জখমদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।