বিশ্বজনীন ক্রিসমাস উৎসবের কিছু অভিনব উদ্যাপন

অনিন্দ্য বর্মন
পৃথিবীজুড়ে সারাবছর পালিত হয় হরেক অনুষ্ঠান। এর মধ্যে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পালিত হয় ক্রিসমাস বা বড়দিন। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর, প্রভু যিশুর আবির্ভাবের পুণ্যতিথিতে পালিত হয় ক্রিসমাস। কিন্তু বিভিন্ন দেশে বড়দিন পালনের আলাদা রীতি আছে। প্রথমে ক্রিসমাস ছিল খ্রিস্টীয় ধর্মালম্বীদের নিজস্ব ছুটির দিন। পরে যখন সারা পৃথিবীতে এই রীতি ছড়িয়ে পড়ে, বিভিন্ন দেশের আদবকায়দাও একে একে মিশে যায় বড়দিন পালনের ক্ষেত্রে। এর ফলেই এখন বিভিন্ন দেশে হরেকরকম প্রথায় পালিত হয় বড়দিন। ক্রিসমাসে প্রভু যিশুর জন্মচিত্র, সান্টাক্লজ এবং হাস্যমুখী তুষারমানবের ব্যবহার সারা পৃথিবীতে তুমুল জনপ্রিয়। কিন্তু অনেক দেশেই এইগুলির পরিবর্তে একদমই অন্যরকম কিছু ব্যবহার করে ক্রিসমাস পালিত হয়। কিছু দেশের বড়দিন উদ্যাপনের প্রথা একদমই ভিন্ন, অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ।
আরও পড়ুন: সেই খেলা নেই, খেলার সাথিও নেই, লোকক্রীড়া হারিয়ে গেছে

১. অস্ট্রিয়ার ব্যাড সান্টা
ব্রিটেনে মানুষ ‘ফাদার ক্রিসমাস’ (সান্টাক্লজেরই রূপ), সান্টা ক্লস অথবা সেইন্ট নিক-এর (সেইন্ট নিকোলাস) ব্যবহারে বড়দিন পালন করে থাকে। এই সবই শুভর প্রতীক। কিন্তু অস্ট্রিয়ার বড়দিন পালন একদমই ভিন্ন। সেইদিন এক ভূত বা শয়তানের প্রতীক ‘ক্র্যাম্পাস’ রাস্তায় দুষ্টু বাচ্চাদের ভয় দেখায়। খ্রিস্টীয় প্রথায় এই ক্র্যাম্পাস ছিল সেইন্ট নিকোলাস-এর সহকারী। ডিসেম্বরে অস্ট্রিয়ার রাস্তায় প্রায়ই দেখা যায় বহু মানুষ ক্র্যাম্পাস-এর সাজে বাচ্চা এবং বড়দের ভয় দেখাচ্ছে। এছাড়াও বড়দিনে ভিয়েনা শহরে ক্র্যাম্পাস প্যারেড হয়।
আরও পড়ুন: গণিত দিবসে রামানুজন ও তাঁর বন্ধুত্বের কথা
২. কারাকাসের রোলার স্কেট দল
ভেনিজুয়েলার রাজধানী হল কারাকাস। প্রত্যেক ক্রিসমাসের সকালে, কারাকাসের বাসিন্দারা রোলার স্কেট পরে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। এই প্রথাটি বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয় যে, সকাল আটটা থেকে শহরের রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে মানুষ সুরক্ষিতভাবে গির্জায় পৌঁছতে পারে। এমনকী বলা হয়, শিশুরাও ঘুমানোর সময় একটি স্কেট পায়ে বেঁধে এবং অপরটি জানালায় ঝুলিয়ে রাখে। এর কারণ ক্রিসমাসের সকালে বন্ধুরা এসে জানালায় ঝোলানো স্কেটে টান দিলে তার ঘুম ভেঙে যাবে।
আরও পড়ুন: সারফারোশি কি তামান্না: বিসমিল ও তাঁর সহযোগীদের আত্মত্যাগের কথা

৩. আইসল্যান্ডের ইউল ক্যাট
আশ্চর্যের মধ্যে আশ্চর্যতম বলা যেতে পারে আইসল্যান্ডের ইউল ক্যাট প্রথা। বলা হয় ক্রিসমাসের সময় একটি দৈত্যাকার বিড়াল সেখানে ঘুরে বেড়ায়। এবং যারা ক্রিসমাসে নতুন পোশাক পায়নি, তাদের খেয়ে ফেলে। আসলে এই রীতিটা কৃষকদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। যারা ভালো কৃষিকাজ করত, মালিকদের প্রতি আনুগত্য দেখাত; তাদের নতুন পোশাক উপহার দেওয়া হত। যারা তা করত না, বলা হয়, তারা ইউল ক্যাটের খাদ্যে পরিণত হত। বর্তমানে, নিয়ম অনুযায়ী আইসল্যান্ডের সবাইকে ক্রিসমাসে নতুন পোশাক পরতে হয়, যাতে তারা ইউল ক্যাটের হাত থেকে রক্ষা পায়।

৪. ইউক্রেনের মাকড়সার জালের ক্রিসমাস
যাঁরা মাকড়সায় ভয় পান, ইউক্রেনের ক্রিসমাস উদ্যাপন তাদের জন্য নয়। যখন সারা পৃথিবী খেলনা, আলো, সুন্দর সাজে ক্রিসমাস পালন করে, ইউক্রেনের মানুষ শিশির-ভেজা মাকড়সার জাল দিয়ে তাদের বাড়ি সাজায়। পুরাণ মতে, এক গরিব বিধবা টাকার অভাবে তার সন্তানদের জন্য ক্রিসমাস ট্রি সাজাতে পারেনি। তার দুঃখ দেখে মাকড়সারা নিজেদের জাল বুনে সেই গাছ খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে। বাচ্চারা পরদিন সকালে সেই মাকড়সার জালের সাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। ইউক্রেনের সংস্কৃতিতেও মাকড়সার জালকে পবিত্র এবং শুভ মনে করা হয়।

৫. জাপানের কর্নেল সান্টা
১৯৭৪-এ আমেরিকান ফাস্ট ফুড কোম্পানি কেএফসি জাপানে ক্রিসমাসের সময়ে একটি ব্যবসায়িক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাদের স্লোগান ছিল― কুরিসুমাসু নি ওয়া কেনটাক্কি। অর্থাৎ ক্রিসমাসের সময়ে কেনটাকি। এই বিষয়টি একটি জাতীয় প্রথার মতো হয়ে ওঠে এবং আজও এটি পালন করা হয়। যদিও ক্রিসমাস জাপানে কোনও জাতীয় ছুটির দিন নয়, কিন্তু জাপানিরা ক্রিসমাসের দিন কেএফসি থেকেই খাবার খেতে পছন্দ করে।
৬. জার্মানির আচার গাছ
ক্রিসমাসে যে ক্রিসমাস ট্রির প্রচলন, বলা হয় সেটা ষোড়শ শতাব্দীতে জার্মানিতেই প্রথম শুরু হয়। সেই অনুযায়ী যে কিছু অন্যরকমের রীতি থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যে একটি হল গাছের ডালের আড়ালে আচার লুকিয়ে রাখা। যে শিশু সেই আচার খুঁজে পাবে, তাকেই সেই আচার উপহারস্বরূপ দেওয়া হয়। আবার অনেকে বলেন যে ক্রিসমাস ট্রির প্রচলন জার্মানিতে শুরু হয়নি। একটি গল্প অনুযায়ী, ক্রিসমাসে এই আচারের ব্যবহার আসলে শুরু হয় স্পেনে। দু’টি যুবককে আচারের পিপেতে কয়েদ করে রাখা হয়েছিল। সেন্ট নিকোলাস তাদের মুক্ত করে জীবনদান করেন। যেভাবেই দেখা হোক, ক্রিসমাস ট্রিতে আচার লুকিয়ে রাখার ব্যাপারটি অভিনব এবং চমকপ্রদ।

৭. ফিনল্যান্ডের বাষ্প স্নান
ফিনল্যান্ড এমনিতেই খুব ঠান্ডার দেশ এবং ঠান্ডার মোকাবিলায় সেখানে প্রায় সব বাড়িতেই বাষ্প স্নানের ব্যবস্থা আছে। ক্রিসমাসে এটাই হয়ে ওঠে তাদের জন্য অতি পবিত্র স্থান যেখানে তারা তাদের পূর্বসূরিদের সঙ্গে যোগ স্থাপনের চেষ্টা করে। ক্রিসমাসের আগের সন্ধ্যায়, তারা রীতি অনুযায়ী নগ্ন হয়ে বহুক্ষণ এই বাষ্প স্নানঘরে বসে থাকে। বলা হয়, এই স্নানঘর নাকি বাষ্প বামনের (sauna elf) বাসস্থান। স্নান শেষ হলে, তারা ক্রিসমাস উদ্যাপন করে এবং বিশ্বাস করে যে তাদের পরিবর্তে তাদের পূর্বসূরিরা বাষ্প স্নানঘর ব্যবহার করছে।

৮. নেদারল্যান্ডসের আগুনের পাশে রাখা জুতো
প্রতি বছর নেদারল্যান্ডসে শিশুরা ডিসেম্বরের ৫ তারিখ থেকেই বাড়ির ফায়ারপ্লেসের পাশে জুতো রেখে দেয় এই আশায় যে, সিন্টারক্ল্যাস (স্যান্ট ক্লস অথবা সেইন্ট নিকোলাস) এসে সেই জুতো লজেন্স এবং উপহারে ভরে দেবেন। এমনকী রীতি অনুযায়ী, সিন্টারক্ল্যাসের সাদা ঘোড়া আমেরিগোর জন্য জুতোয় গাজর ভরে রাখা হয়। আগে দুষ্টু বাচ্চাদের ভয় দেখানোর জন্য উপহারের বদলে জুতোয় আলু ভরে দেওয়া হত। তবে এই প্রথাটি বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে।

৯. ইতালির বেলফানা ডাইনি
ইতালিতে থাকলে ২৫ ডিসেম্বর এবং সান্টাক্লজের কথা ভুলে যাওয়া উচিত, কারণ সেখানে ৫ জানুয়ারি বড়দিন পালন হয়। একটা প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, এই সময় ইতালিতে বেলফানা নামক এক মহিলা বাচ্চাদের লজেন্স বিলি করেন। ভালো বাচ্চাদের উপহারও দেন। ঠিক ফাদার ক্রিসমাসের (প্রচলিত সান্টা ক্লস) মতোই বেলফানা চিমনি দিয়ে আসে এবং বাচ্চাদের জন্য উপহার রেখে যায়। উপহারের মধ্যে থাকে ওয়াইন এবং ভালো খাবার।

১০. সাউথ আফ্রিকার শুঁয়োপোকা ভাজা
ক্রিসমাসের খাবার বললে সবথেকে জনপ্রিয় মাংসের পাই এবং টার্কির মাংস। কিন্তু সাউথ আফ্রিকায় ক্রিসমাসের সবথেকে জনপ্রিয় খাদ্য হল শুঁয়োপোকা ভাজা। এটাই সম্ভবত পৃথিবীতে সবথেকে অদ্ভুতুড়ে ক্রিসমাস স্পেশাল খাবার। তবে এটা সাধারণ শুঁয়োপোকা নয়। এইক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় পাইন ট্রি এম্পেরার মথ অথবা ক্রিসমাস ক্যাটারপিলার। বিশ্বাস করা হয় এর সুস্বাদুতার সঙ্গে আগামী বছরের ভালো সময়ের প্রতীক এই খাবার।
১১. নরওয়ের উড়ন্ত ডাইনি
নরওয়ের প্রচলিত পুরাণ মতে, ক্রিসমাসের আগের দিন সন্ধ্যায় দুষ্ট আত্মা এবং ডাইনিরা আকাশে উরে বেড়ায়। বদমাইশি, মশকরা এবং মানুষকে বিব্রত করাই তাদের কাজ। যেহেতু ঝাঁটায় চড়ে ডাইনিরা উড়ে বেড়ায়, তাই ক্রিসমাসের আগের দিন নরওয়েবাসিরা ঝাঁটা লুকিয়ে রাখে যাতে ডাইনিরা তাদের প্রিয় বাহন খুঁজে না পায়।

১২. সুইডেনের ডোনাল্ড ডাক
১৯৫৮-তে একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছিল যার নাম কালে আনকা ওচ হানস ভানের ওসকার গড জুল অর্থাৎ ডোনাল্ড ডাক এবং তার বন্ধুরা আপনাকে মেরি ক্রিসমাসের শুভাচ্ছা জানাচ্ছে। প্রত্যেক বছর, সুইডেনের মানুষ ঠিক দুপুর ৩টের সময় টিভিতে ডোনাল্ড ডাকের এই ভিডিয়োটি দেখতে জড়ো হয়। সমস্ত উদ্যাপন এই সম্প্রচারটিকে ঘিরে তৈরি হয় এবং এখনও সুইডেনের প্রায় ৪০% মানুষ এই প্রথাটির সঙ্গে জড়িত। এটি শুরু হয়েছিল সেই ১৯৬০-এর গোড়ায় যখন টিভিতে ডিসনি-র ক্রিসমাস কার্টুন দেখানো হত। একটু অন্যরকম হলেও একটি মাত্র অনুষ্ঠানের সম্প্রচার দেখার জন্য সারাদেশের লোকের একত্রিত হওয়াটাও কম আশ্চর্যের নয়।

১৩. নিউজিল্যান্ডের পরিবর্ত ক্রিসমাস ট্রি
সব দেশেই একই রকম দেখতে ক্রিসমাস ট্রি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দারা পাইনের বদলে ব্যবহার করে পহুটুকাওয়া নামক একটি গাছ। এই গাছটি নিউজিল্যান্ডে পাওয়া যায়। গাছটির শেকড় প্যাঁচানো আকাড়ের এবং এতে উজ্জ্বল লাল রঙের ফুল ফোটে। অস্ট্রিয়ান ভূতত্ত্ববিদ ফার্দিনান্দ ভন হচস্টেটার ১৮৬৭ সালে এই গাছটির প্রথম উল্লেখ করেন। তিনি বলেছিলেন নিউজিল্যান্ডে বাড়ি এবং গির্জা সাজানোয় এই গাছটি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে পহুটুকাওয়া গাছ নিউজিল্যান্ডে ক্রিসমাসের প্রতীক। ক্রিসমাস কার্ড, সাজসজ্জা এবং ক্রিসমাস ক্যারলেও এই গাছটির উল্লেখ পাওয়া যায়।
১৪. স্পেনের পুপ লগ বা বমি করা কাঠের গুঁড়ি
সম্ভবত সবথেকে অদ্ভুত ক্রিসমাস উদ্যাপনে ব্যবহার হয় টিও দে নাদাল, যাকে বলা হয় ক্রিসমাসের কাঠের গুঁড়ি। এটা পাওয়া যায় স্পেনের কাতালানিয়া প্রদেশে। টিও দে নাদাল হল একটি ফাঁপা কাঠের গুঁড়ি। তাতে কাঠির হাত-পা, মুখে একটা হাসি এবং মাথায় একটা লাল টুপি পরানো হয়। ৮ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর বাচ্চারা এই ফাঁপা গুঁড়ির ভেতর জল এবং খাবার দেয়। রাতে গরম রাখার জন্য কম্বলে মুড়ে দেয়। কিন্তু ক্রিসমাসের আগের দিন সন্ধ্যাবেলা বাচ্চারা এই গুঁড়িটাকে পেটাতে থাকে। বেশ মজাদার একটা গানও আছে― পুপ লগ, পুপ নোগাতস, হেজেলনাটস অ্যান্ড মাতো চিজ (বিভিন্ন খাবারের নাম), ইফ ইউ ডোন্ট পুপ ওয়েল, আই উইল হিট ইউ উইথ আ স্টিক, পুপ লগ। অর্থাৎ, পুপ লগ, তুমি যদি আমাদের নোগাতস, হেজেলনাটস এবং মাতো চিজ না দাও, তাহলে আমরা তোমাকে মারব। অদ্ভুত ব্যাপার হল টিও দে নাদাল-কে পেটানোর পর তা থেকে আশ্চর্যজনকভাবে বিভিন্ন লজেন্স এবং উপহার বমির মতো তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে।

১৫. সুইডেনের ইউল গোট
সুইডেনে আরও একরকমের অদ্ভুত ক্রিসমাস প্রথা আছে। এটি সম্ভবত এই লেখায় উল্লিখিত সবথেকে প্রাচীন প্রথা। ইউল ছাগলের গল্পটি প্রায় একাদশ শতাব্দীতে তৈরি। বলা হয়, সেইন্ট নিকোলাস একটি মানুষাকৃতি ছাগল নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন এবং শয়তানকে দমন করার ক্ষমতা এই ছাগলটির ছিল। যদিও এই বিষয়টিতে সময়ের সঙ্গেই অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরুষরা ছাগলের বেশে ঘুরে বেড়াত এবং মশকরা করত, উপহার চাইত। উনবিংশ শতাব্দীতে এই ইউল ছাগল ছিল ভালো মানুষ; বাচ্চাদের উপহার দিত। ফাদার ক্রিসমাসের বদলে পরিবারের বড়রা ছাগলের বেশে পরিবারের সকলকে উপহার দিত। আজ অবশ্য মানুষ আর ছাগলের বেশ ধারণ করে না। তার পরিবর্তে এইরকম খেলনা দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়ে থাকে। বড় শহরে, খড় এবং ফিতে দিয়ে সুন্দর ইউল ছাগলের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়। তবে এনেকেই মজার ছলে এই খড়ের ছাগলে আগুন লাগিয়ে দেন। এইভাবেই প্রতি বছর বহু ইউল ছাগল পুড়ে নষ্ট হয়।

অসম্ভব সুন্দর একটি গোছানো তথ্যে ভরপুর লেখা