Mysepik Webdesk: বাংলার একুশে নির্বাচনের সময় তৃণমূলের টিকিট পাননি রাজনীতির ময়দানে একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ। রাগে, অভিমানে তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বদলে গেছেন দিদি’। নির্বাচনের ফলাফলে যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল ফের বাংলায় ক্ষমতায় ফিরল, ঠিক তার কয়েকদিন পরেই ফের তৃণমূলে ফেরার বার্তা দিলেন সোনালি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে টুইট করে তৃণমূলে ফেরার আর্জিও জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: মমতাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য শুভেন্দুর, জানুন বিস্তারিত
জানা গিয়েছে, এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ডেকে পাঠান বাড়িতে। যদিও তাঁকে ডাকা হয়েছিল পারিবারিক কারণেই। কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেজভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই সোনালি গুহ গিয়েছিলেন কালীঘাটে। তবুও এই ঘটনায় তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া ‘দলবদলুদের’ অনেকেই এবার আশার আলো দেখতে পেলেন। এদিকে আগামী ৫ জুন তৃণমূল ভবনে একটি সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে যাঁরা নির্বাচনের আগে দলত্যাগ করেছিলেন, তাঁদের ফের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। যদিও দলত্যাগীদের মধ্যে একা সোনালি গুহ নয়, তালিকায় রয়েছেন অনেকেই। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভ্রাংশু রায়, সব্যসাচী দত্ত-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: সেদিন কলাইকুন্ডায় বৈঠকে ঠিক কী হয়েছিল, মুখ খুললেন মমতা
এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতা ফের ফিরতে চেয়েছেন তৃণমূলে। সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন অনেকে। অন্যদিকে দলত্যাগীদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘আসতে চাইলে আসুক না, ওয়েলকাম তাঁদের’। ওই সময় তিনি সৌজন্যতার খাতিরে একথা বলেছিলেন, না সত্যিই তাঁদের দলে ফেরাতে চেয়েছিলেন, সেকথা অবশ্য সময়ই বলবে।