Mysepik Webdesk: করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। রাজ্যের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী করোনাকালে বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫০ জনকে আমন্ত্রন জানানো যাবে, যা এই অতিমারীর সময়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে। এদিকে, বিয়ের আয়োজন সব পাকা। ইতিমধ্যেই কনে পক্ষের তরফ থেকে অন্তত ৬০০ জনকে নিমন্ত্রণ করা হয়ে গিয়েছে। কাউকে তো আর বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে না বলা সম্ভব নয়। কীভাবে এই সমস্যা মেটানো যায়? চিন্তায় রীতিমতো ঘুম উড়েছে পাত্রীর বাবার। ঠিক সেই সময় আসরে নামলেন কনে নিজেই। যাবতীয় সমস্যার সমাধান করলেন পাত্রী নিজেই। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট করে তিনি বিধিনিষেধ শিথিল করার অনুরোধ করলেন। আশ্চর্যজনকভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাড়াও পেলেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জের! মেয়েকে ধর্ষণ করতে গৃহশিক্ষকে সাহায্য মায়ের
ঠিক কি ঘটেছিল? সমস্যা মিটলোই বা কীভাবে? আসুন বিষয়টা খোলসা করেই বলা যাক। ব্যান্ডেলের বনমসজিদ এলাকায় বাড়ি আম্রপালির রায়ের। বিয়ে ঠিক হয়েছে পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু দের সঙ্গে। আগামী ২৪ জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তাঁরা। সেইমতো শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের তোড়জোড়। সমস্যা হল, ইতিমধ্যেই পেশায় সরকারি কর্মচারী পাত্রীর বাবা রঞ্জন রায় কার্ড ছাপিয়ে প্রায় ৬০০ অতিথিকে নিমন্ত্রণ সেরে ফেলেছেন। তখনও রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত সেভাবে শুরু হয়নি। কিন্তু নতুন বছরে করোনা গ্রাফ উর্ধমুখী হওয়া শুরু হতেই বেজায় সমস্যায় পড়েছেন তিনি। রাজ্যে লাগু হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ জন পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবে অতিথির সংখ্যা কাটছাট করে ২০০ জন্যে নামিয়ে আনতে পেরেছেন। তাছাড়া ৫০ জনের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা কার্যত অসম্ভব।
আরও পড়ুন: ফিসপ্লেট ভাঙা! বড়োসড়ো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ডাউন দত্তপুকুর লোকাল
এই পরিস্থিতিতে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই বিধি শিথিল করার আবেদন জানান আম্রপালি। অনুরোধ করেন, তাঁর আবেদন, অনুষ্ঠানের ভেন্যু অনুযায়ী যদি ৫০ জনের বদলে যদি ৫০ শতাংশ অতিথির অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে ভাল হয়। কারণ, বিয়ের মতো অনুষ্ঠান মাত্র ৫০ জনের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করা কার্যত অসম্ভব। আশ্চর্যজনকভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। রাজ্যের তরফ থেকে জারি করা হয় নয়া নির্দেশিকা। জানানো হয়, ১৬ জানুয়ারি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ২০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। আম্রপালির বিশ্বাস, তাঁর অনুরোধেই সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত বদলেছে, বাড়ানো হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ অতিথির সংখ্যা। আম্রপালি জানাচ্ছেন, তাঁর বিয়েতে সমস্ত কোভিডবিধি মানা হবে। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটারে বিয়ের কার্ড পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যান্ডেলে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।