ইংরেজদেরও কৃষকদের কাছে মাথানত করতে হয়েছিল, রাজ্যসভায় মনে করিয়ে দিলেন গুলাম নবি আজাদ

Mysepik Webdesk: রাজ্যসভায় বিরোধী দলীয় নেতা গুলাম নবি আজাদ কৃষকদের আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল করলেন। এদিন রাজ্যসভায় তিনি বলেন, “সরকারের উচিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করা। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তা ঘোষণা করলে ভালো হবে। কৃষকদের লড়াই ব্রিটিশ আমল থেকেই চলছে। ব্রিটিশদেরও কৃষকদের কাছে মাথানত করতে হয়েছিল। কৃষকবিরোধী আইন প্রত্যাহার করতে হয়েছিল।”
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের ৭০ দিন: আজ হরিয়ানায় মহাপঞ্চায়েত, দাবি না মানলে সারাদেশে হবে মহাপঞ্চায়েত!

তিনি বলেছিলেন, “১৯০৬ সালে ব্রিটিশ শাসন কৃষকদের বিরুদ্ধে তিনটি আইন কার্যকর করে এবং তাদের মালিকানা গ্রহণ করে। এর প্রতিবাদে, ১৯০৭ সালে সরদার ভগৎ সিংয়ের ভাই অজিত সিংয়ের নেতৃত্বে পঞ্জাবে একটি আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে তিনি লালা লজপত রায়ের সমর্থনও পেয়েছিলেন। গোটা পঞ্জাবে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল। এ-সময় বাঁকে দয়াল নামে একজন, যিনি একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন, তিনি ‘পাগড়ি সম্ভাল জট্ট’ এবং ‘পাগড়ি সম্ভাল বে’ নামে দু’টি কবিতা লিখেছিলেন, যা পরে বিপ্লবী গানে পরিণত হয়েছিল। ব্রিটিশদের আইনটিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। এতে মানুষ আরও ক্ষুব্ধ হয়েছিল। পরে ব্রিটিশরা তিনটি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।”
আরও পড়ুন: কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল সংসদ, সাসপেন্ড তিন আপ সাংসদ

গুলাম নবী আরও বলেন, কিছু সাংবাদিক এবং এমপি শশী থারুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে ব্যক্তি বিদেশ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রয়েছেন তিনি কীভাবে বিশ্বাসঘাতক হতে পারেন?

কাশ্মীর ইস্যুতে তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীরের ছোট কর্মীরা দুই বছর ধরে ঘরে বসে আছেন। পর্যটন ধুঁকছে। শিক্ষাব্যবস্থাও ধুঁকছে। কারণ কোভিডের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। এখনও বন্ধ। কিছু জায়গায় অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। কাশ্মীরে এখনও 2G পরিষেবা অব্যাহত। কাশ্মীরের রাস্তার অবস্থাও খারাপ। ডিডিসি নির্বাচন হয়েছিল সেখানে। তবে প্রধানমন্ত্রী এ-ছাড়া আর কিছু দেখতে পান না।”