থমকে গেল হাবাসের বিজয়রথ

সায়ন ঘোষ
টানা তিন ম্যাচ জিতে কি আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল মোহনবাগান? এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। আজকের ম্যাচে দেখে সে কথাই উঠে এলো। গত তিন ম্যাচের মতো স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেনি মোহনবাগান। ৪-৩-৩ ছকে দল নামায় জামশেদপুর। অন্যদিকে, ৩-৫-২ ছকে দল নামিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। শুরু থেকেই মাঝমাঠের দখল নেয় জামশেদপুর। ১৪ মিনিটে এডুর শট সেভ করেন রেহনেশ। ২৯ মিনিটে গোল লাইন সেভ করেন প্রীতম। ৩০ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেন ভোলাস্কিস। ৩২ মিনিটে ভোলাস্কিসের হেড সেভ করেন অরিন্দম।
আরও পড়ুন: গোল করে ইতিহাস বালা দেবীর

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মোহনবাগান। ব্র্যাড ইমাম ও গ্লেন মার্টিনেজ লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ৬৫ মিনিটে ফের কর্নার থেকে গোল করে ২-০’তে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন ভোলাস্কিস। এরপর মনবীর আর শেখ সাহিলকে নামান হাবাস। সাহিল ও মনবীরের দাপটে শেষের দিকে আক্রমণের ঝড় তোলে মোহনবাগান। ৮৩ মিনিটে রয় কৃষ্ণা গোল শোধ করে দেন। তারপর মনবীরের শট সেভ করেন রেহনেশ। শেষ মিনিটে প্রায় গোল করে ফেলেছিল মোহনবাগান, অল্পের জন্য গোল মিস হয় মনবীরের।
আরও পড়ুন: বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি পদে স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়

এ-দিন ছন্দে ছিলেন না সন্দেশ ঝিংগান। প্রবীর দাসকেও বিপজ্জনক হতে দেননি রিকি। অন্যদিকে, জ্যাকিচাঁদ সিং আটকে রাখেন প্রীতম। আজ মোহনবাগানের মাঝমাঠ ছিল ফ্লপ। গ্লেন মার্টিনেজ ও ব্রাড ইমাম সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। বাঁ-দিকে সুসাইরাজের অভাব সুস্পষ্ট। শুভাশিসকে লেফট উইংয়ে খেলালেও আদতে লেফট ব্যাক শুভাশিস রক্ষণে মনোযোগ দেওয়ায় লেফট উইং দিয়ে আক্রমণ হচ্ছে না। অবিলম্বে এটিকে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত শুভ ঘোষ ও দীপ সাহাকে গোয়াতে নিয়ে গিয়ে তৈরি করা। কারণ সব দলই জানে যেদিন প্রবীর দাস খেলবেন, সেদিন মোহনবাগান বিপজ্জনক হবে। কিন্তু প্রবীর দাসকে আটকালেই মোহনবাগান আপফ্রন্টে খেই হারিয়ে ফেলছে। রয় কৃষ্ণাকে বল জোগান দিতে ব্যর্থ এডু গার্সিয়া। ডেভিড উইলিয়ামসের অভাব ও দেখা যাচ্ছে। ডেভিড উইলিয়ামস ও জাভি হার্নান্দেজের মতো ফুটবলার যত তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরবেন, ততই মঙ্গল মোহনবাগানের।
ছবি সৌজন্য আইএসএল