Mysepik Webdesk: বছরের শেষ “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিছুটা আবেগঘনই হয়ে পড়লেন। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে দেশের করোনা ও ওমিক্রন পরিস্থিতিই বিশেষ গুরুত্ব পেলেও একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সাধারণ মানুষের অবদানের কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, প্রধানমন্ত্রী আমার কথা শুনেছেন! বললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত করোনা নিয়ন্ত্রনে অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছে। ১৪০ কোটি টিকারনের মাইলস্টোন পাড় করা প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছেই গর্বের। বছর শেষে আজ রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই অনুষ্ঠান থেকে ওমিক্রন নিয়ে একদিকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে সবাই আমাদের সুস্থ থাকতে হবে। তবে ওমিক্রন নিয়ে ভারতের গবেষকরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ক্রমাগত ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। প্রত্যেকদিন ডেটা জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের কথা মতোই সবকিছু চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সাবধানতা অবিলম্বন করার বার্তা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে সুশাসনের তালিকায় শীর্ষে গুজরাট, শেষে বাংলা
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, আপনারা সকলেই ২০২১ সালকে বিদায় জানিয়ে ২০২২-কে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নতুন বছরে প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি সংস্থাকেই সংকল্প করতে হবে নতুন কিছু করার। আগামী বছরে আরও উন্নত হয়ে ওঠার। গত সাত বছরে ‘মন কি বাত’ আমাদের অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে ব্যক্তিগত কল্যাণের মাধ্যমে দেশ ও সমাজের জন্য আরও ভাল কিছু করার, আরও উন্নতি করার।সরকারের কাজের খতিয়ান দেওয়ার জন্য ‘মন কি বাত’ নয়। তৃণমূল স্তরের মানুষদের সম্মিলিত প্রয়াসকে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, সংবাদমাধ্যমে প্রচার, খবরের কাগজের হেডলাইন থেকে দূরে থেকেও এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যারা দারুণ কাজ করছেন। তারা নিজেদের বর্তমানকে ব্যয় করছেন দেশের ভবিষ্যৎ তৈরি করার জন্য। দেশের আগামী প্রজন্ম যাতে সুষ্ঠ সমাজ, পরিবেশ পায়, তার জন্য ওনারা মন-প্রাণ দিয়ে পরিশ্রম করছেন। এই ধরনের মানুষদের কথা আলাদাই একটা প্রশান্তি দেয় ও অনুপ্রেরণা জোগায়।”