বাঙালির গর্ব, বর্ধমানের ছেলে সৌম্য দত্তের হাত ধরেই মঙ্গলগ্রহে নামবে রোভার

Mysepik Webdesk: মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা চলছেই। সেই গবেষণার অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলের মাটিতে ফের রোভার নামাতে চলেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। তবে রোভারটি নিরাপদে মঙ্গলের মাটিতে নামানোর জন্য যে বিশালাকার প্যারাশুটটি বানানো হয়েছে, সেটি বানিয়েছেন বর্ধমানের ছেলে সৌম্য দত্ত। তাঁর বানানো প্যারাশুটটি এখনও পর্যন্ত মঙ্গলে পাঠানো সবচেয়ে বড় প্যারাশুট। জানা গিয়েছে, ১৫জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের উচ্চতার সমান এই প্যারাশুটটির উচ্চতা।
আরও পড়ুন: হোয়াটস অ্যাপের চ্যাট ভুল করে ডিলিট হয়ে গেছে? ফিরিয়ে আনুন এই পদ্ধতিতে
‘মার্স ২০২০ রোভার’ নামক রোভারটি নাসা শীঘ্রই মঙ্গলের মাটিতে নামবে বলে খবর। তবে আগের মঙ্গল অভিযানে যে প্যারাশুট ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি এবারের প্যারাশুটের থেকে আকারে অনেক ছোট এবং ‘মার্স ২০২০ রোভার’ মিশনের জন্য সৌম্য দত্তের বানানো প্যারাশুটটি আকারে অনেকটাই বড় এবং আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। শব্দের থেকে প্রায় দ্বিগুন গতিবেগে নামবে এই ল্যান্ডারটি। মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের সাথে সংঘর্ষে সেটি যাতে পুড়ে যা যায়, তাঁর জন্য রয়েছে বিশেষ তাপরোধী ব্যবস্থাও। ২১ মিটারের চেয়েও বড় এই প্যারাশুট খুলতে সময় লাগবে ১ থেকে ২ সেকেন্ড। প্যারাশুট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই রাডারের ক্যামেরা মঙ্গলের মাটিতে অবরণের উপযুক্ত স্থান খুঁজতে শুরু করে দেবে।
আরও পড়ুন: ভুলেও মোবাইলে ডাউনলোড করবেন না এই অ্যাপগুলি, সাবধান করল কেন্দ্র
জানা গিয়েছে, এবার ল্যান্ডার ও রোভার মঙ্গলের মাটিতে নামার আগে ওই গ্রহের কক্ষপথ প্রদিক্ষণ করবে না। সরাসরি সেটি মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে মঙ্গলের মাটিতে নামতে শুরু করবে। রকেট থেকে যখন ল্যান্ডার ও রোভার আলাদা হওয়ার সময় রকেটটির গতি থাকবে সেকেন্ডে সাড়ে ৫ কিলোমিটার। সেই কারণেই লাল গ্রহের মাটিতে সুরক্ষিতভাবে এই ল্যান্ডার ও রোভারটি নামাতেই বানানো হয়েছে এই বিশেষ প্যারাশুট।
আরও পড়ুন: ‘শুক্র গ্রহ আমাদের’, রাশিয়ার দাবিতে চাঞ্চল্য বিজ্ঞানীমহলে