রাত পোহালেই খুলছে বিদ্যালয়! চলছে চূড়ান্তকালীন প্রস্তুতি

Mysepik Webdesk: অবশেষে এলো বিদ্যালয়ে পুনরায় পঠন পাঠনের গ্রীন সিগন্যাল। গত বছর ২১ শে মার্চ স্বার্থপর অদৃশ্য করোনাদৈত্যর কারণে দীর্ঘ ১১ মাস পরে আগামীকাল অর্থাৎ ১২ই ফেব্রুয়ারি খুলতে চলেছে স্কুল। সেই কারণেই যুদ্ধকালীন তৎপরতা লক্ষ্য করা গেল বিভিন্ন স্কুলগুলিতে। সেই সঙ্গে একগুচ্ছ নিয়মাবলি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপুরে আবাস যোজনার তোলাবাজির বিরুদ্ধে রাস্তায় লিফলেট
এক নজরে সেই নিয়মগুলি :
১) নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে।
২) দুই বা ততোধিক বিভাগে বিভাজিত হয়ে ক্লাস করাতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের।
৩) শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী এমনকি প্রতিটি নন টিচিং স্টাফদের মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে।
৪) ছাত্রছাত্রীদের প্রাকটিক্যাল ও থিওরি উভয় ক্লাসই বলবৎ থাকছে।
৫) সমস্ত স্কুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
৬) প্রত্যেক পড়ুয়াকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সেই কারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় ব্যাবহার করতে হবে ছাতা, যা পারস্পরিক দূরত্বকে মান্যতা দেবে।
৭) স্কুলে একে অন্যের জল খাওয়া যাবে না।
৮) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খেলা বন্ধ। থাকছে সামাজিক স্লোগান লেখার প্রতিযোগিতা ও কুইজ কনটেস্ট।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের তুষারধসে নিখোঁজ মহিষাদলের তিন শ্রমিকের পরিবারের পাশে শুভেন্দু
৯) ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পঠন পাঠন সংক্রান্ত সামগ্রী ভাগাভাগি করার ওপর কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
১০) বিদ্যালয়ে রাখতে হবে আইশলেশন বিভাগ। তাছাড়াও কোনো ছাত্র-ছাত্রীর সর্দি, কাশি, জ্বর হলে তার স্কুলে না আসার জন্য নির্দেশিকা রয়েছে।
১১) বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো ক্লাস যেন শিক্ষক বা শিক্ষিকা হীন না থাকে তার জন্যও বিশেষ নজরদারি থাকছে।
১২) স্কুল খোলার আগে স্কুলের পরিচালন সমিতি, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে জেলা শাসক ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আবশ্যিক এবং জেলা শাসকের পক্ষ থেকে স্কুল খোলার যাবতীয় নিয়মাবলী সম্পর্কে স্কুলকে অবগত করা হবে।
১৩) একাধিক পড়ুয়াকে মনিটর করা হতে পারে শ্রেণীকক্ষে।
১৪) ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক ইউনিফর্ম ব্যাবহার করার ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৫) স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে হ্যান্ড সেক, আলিঙ্গন এর বিরুদ্ধে জারি রয়েছে বিধি নিষেধ।
এছাড়াও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা রয়েছে ডি আই এবং এস আই নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করবেন এবং স্কুলে বসাতে হবে মেডিক্যাল ক্যাম্প। বিশেষ প্রয়োজনে অভিভাবকরা পরামর্শ করতে পারবেন কোনো সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের সঙ্গে।