শান্তিপুরে নিহত দুই বন্ধুর পরিবারের বক্তব্যে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত কারণেই খুন

Mysepik Webdesk: শান্তিপুরে দুই বন্ধুর মৃত্যুর সঙ্গে কোন রকমের রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে তাদের পরিবারের বক্তব্যে। দীপঙ্কর বিশ্বাসের স্ত্রী রিতা বিশ্বাস জানান, যেদিন রাতে ওই দুই বন্ধু খুন হন, সেই দিন দুপুরে মঞ্জু দাস নামে এক মহিলার আগমন হয় তাদের বাড়িতে। এবং সেদিন সঙ্গে বেলায় প্রতাপ এবং দীপঙ্কর তাদের এক বন্ধ অক্ষয়কে শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনে আনতে যায় রিতাকে না জানিয়ে। যাওয়ার সময়ে প্রতাপ রিতা বিশ্বাসকে উদ্দেশ্যে করে বলেন দাদাকে আমি নিয়ে যাচ্ছি দায়িত্ব করে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো, তারপর থেকেই মোবাইলে বন্ধ দুজনের।
আরও পড়ুন: ফের সাফল্য! জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় একশো শতাংশ নাম্বার পেয়ে রাজ্যের মধ্যে প্রথম ব্রতীন মন্ডল
নিহত প্রতাপ বর্মনের বন্ধুত্ব ছিল কলকাতা অথবা কালনার মঞ্জু দাসের সঙ্গে। বন্ধু দীপঙ্কর বিশ্বাসকে সে ভাই পাতিয়েছিলেন। সেই সুবাদেই, দীপঙ্করের বাড়িতে আগেও একদিন থেকে গিয়েছিলেন, মাঝ বয়সি ঠিকানা না জানা ওই মহিলা। মৃতদেহ উদ্ধারের খবর শুনে সকালে মঞ্জু দাস অর্থাৎ প্রতাপের বান্ধবী দীপঙ্করের স্ত্রীর সঙ্গে শান্তিপুর থানা যাচ্ছিলেন কিন্তু মাঝ রাস্তায় রিতাকে কিছু না জানিয়েই নেমে যান। দুই পরিবারেরই দাবি মঞ্জু দাস এবং অক্ষয়কে জেরা করলেই খুনের সমস্ত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: গোয়াল ঘরে ছানি কেটে প্রচারে প্রার্থী
গতকালকেই মঞ্জু দাস নামে আগন্তুক ওই মহিলার আটক করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। অক্ষয়ের খোঁজ চলছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেলা পুলিশ। আজকে ফের একবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি এবং এসডিপিও। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক তা স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশই।