জানুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই চড়ছে তাপমাত্রা, তবে কি বাংলা থেকে বিদায় শীতের?

Mysepik Webdesk: জানুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। এই সময় সাধারণত হিমের হাওয়ায় পারদ নেমে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ পাওয়ার কথা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, ঠান্ডার লেশমাত্র নেই। উল্টে রাতে শোয়ার সময় কম্বল গায়ে দেওয়ার পরিবর্তে ফ্যান চালাতে হচ্ছে। তবে কী রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে শীত? এ বছর আর কী ফিরবে না শীতের আমেজ? অথচ ভরপুর চলছে উত্তুরে বাতাস। কিন্তু কেন এই আবহাওয়ার পরিবর্তন? জানালেন আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: নেতাজির ভাইজি চিত্রা ঘোষের প্রয়াণ, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর
আবহাওয়াবিদরা জানালেন, নতুন বছরের প্রথম দিন দিল্লির তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১.১ ডিগ্রিতে। পাশাপাশি হরিয়ানা, রাজস্থানের কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছিল। এরপর একাধিক পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তর ভারতে আটকে গিয়েছিল উত্তুরে-পশ্চিমি বাতাস। আর তার ফলেই বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে ঝঞ্ঝার দাপট কিছুটা কমলেও পশ্চিমবঙ্গ, বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডে বেড়েছে তাপমাত্রা। আসলে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ফলেই আবহাওয়ার এই রকম পরিবর্তন হয়েছে। ওই ঘূর্ণাবর্তের ফলেই হিমেল শীতল হাওয়া পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার পরিবর্তে পাকিস্তান থেকে আরব সাগরের দিকে সরে যাচ্ছে। সেই বাতাসের খুব সামান্যই উত্তরপ্রদেশের দিকে আসছে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে অন্য আতঙ্ক বার্ডফ্লু! রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র

উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে মূল যে বাতাস আসছে, তা আদৌ পশ্চিম হিমালয়ের তুষারছোঁয়া বাতাস নয়। সেটি আসলে বঙ্গোপসাগরের বাতাস যা মধ্য-উত্তর ভারত ঘুরে বাংলায় ঢুকছে। এই বাতাস তুলনামূলক তুলনায় উষ্ণ এবং আর্দ্র। আর এই কারণেই তাপমাত্রা চড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের। তাহলে কী শীত পাকাপাকিভাবে বিদায় নিতে চলেছে বাংলার বুক থেকে? উত্তরে আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ১২ জানুয়ারির পর কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে কিনা, তা এখনিই বলা সম্ভব নয়।