Mysepik Webdesk: বাড়িতে গাছপালা রাখা ভালো। তবে বেডরুমে গাছ রাখা নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। কারণ রাত্রে গাছ থেকে কার্বোন ডাইঅক্সাইড বেরোয় আর অক্সিজেন অ্যাবজর্ব হয়। ফলে অনেকেই এটিকে বেশ ক্ষতিকর বলে মনে করেন। তবে রিসার্চ কিন্তু অন্য কথা বলছে। বেডরুমে রাখা গাছ থেকে রাত্রে যে পরিমাণে কার্বোন ডাইঅক্সাইড বেরোয় আর যে পরিমাণে অক্সিজেন অ্যাবজর্ব করে তা এতটাই কম যে তাতে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। গাছ ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখে। দূষণ কমাতে সাহায্য করে। এমন কিছু গাছ আছে যা বেডরুমে রাখলে ঘুম ভালো হয়। এমনি কিছু গাছের কথা জেনে নিন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগে যে ৪টি মেডিকেল টেস্ট করাতে ভুলবেন না
জুঁই: জুঁই ফুল ডিপ্রেশন কমায় শরীরের ক্লান্তি দূর করে। এছাড়াও দেখা গেছে এই ফুলের সুগন্ধীতে গভীর ঘুম আসে। এই গাছটি জানালার পাশে রাখাটাই ভালো। কারণ অতিরিক্ত সূর্যের আলো জুঁই গাছের জন্য বিপজ্জনক৷ সারাদিনে ঘণ্টাখানেক রোদই এই গাছের জন্য যথেষ্ট৷ তবে জুঁই ফুলের গাছ খুব দ্রুত বাড়ে তাই মাঝে মধ্যেই কিন্তু এই গাছ ছেঁটে দিতে হবে।

মানি প্ল্যান্ট: এই গাছটি খুব সহজেই বাড়তে থাকে। খুব যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। মানি প্ল্যান্ট ঘরের মধ্যে থাকলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ফর্ম্যালডিহাইডের মতো দূষক পদার্থকে দূর করে ঘরের ভিতরের বাতাসকে দূষণমুক্ত করে।
আরও পড়ুন: আতা ফলের কিছু উপকারিতা

আইভি: নাসার বৈজ্ঞানিকদের মতে, এই গাছটি প্রত্যেকটি ঘরের মধ্যে রাখা উচিত। কারণ এই গাছটি ঘরের নিয়ে আসার ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে।

ল্যাভেন্ডার: শরীর রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে ল্যাভেন্ডার। শুধু তাই নয় এই গাছটি শরীরের রক্তচাপ কমায় আর হার্ট রেট কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে শরীরে রক্ত চলাচলেরও উন্নতি ঘটায়।

ফিকাস: এই গাছটি ঘরের বাতাসের টক্সিন শুষে নেয় এবং টাটকা বাতাসের জোগান দিতে থাকে। এই গাছটির বেঁচে থাকার জন্য খুব একটা আলো বা জলের প্রয়োজন হয় না। তবে ছোট বাচ্চা বা পোষ্য থেকে এই গাছটি দূরে রাখতে হবে। কারণ এই গাছের পাতা পাতা শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে।
/grow-ficus-trees-1902757-1-80b8738caf8f42f28a24af94c3d4f314.jpg)
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা গাছের অনেক গুণ। তারমধ্যে অন্যতম হল বাতাসকে পরিশোধন করা। NASA স্বীকৃত সবচেয়ে কার্যকরী বায়ু পরিশোধক এটি। তাছাড়া, অ্যালোভেরা বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
