নাসার এই চন্দ্রযানে চড়েই চাঁদে যাবেন বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী

Mysepik Webdesk: আগামী ২০২৪ সালে চাঁদে প্রথম মহিলা মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। আর তার জন্যই প্রস্তুতি জোরকদমে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকাশ যান, স্পেস লঞ্চ সিস্টেম, ল্যান্ডার তৈরির কাজও। নাসার এই কাজে সাহায্যেই করছে Amazon-এর ফাউন্ডার ও CEO জেফ বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিন (Blue Origin)। আলাবামার হান্টসভিলেতে (Huntsville) চলা ব্লু অরিজিনের তৈরি রকেট ইঞ্জিন BE-7 প্রথম কোনও মহিলা মহাকাশচারীকে চাঁদে পদার্পন করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: এবার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমেই করোনা টেস্ট, উদ্যোগী বিজ্ঞানীরা

নাসার আর্টেমিস মিশনের সঙ্গী হবে এই রকেট। নিজের ইনস্টাগ্রামে রকেটের পরীক্ষার ভিডিও শেয়ার করেছেন বেজোস। আপাতত উৎক্ষেপণের সময় তাপমাত্রার পরিমাপ ও ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের চেম্বার থেকে হট ফায়ার টেস্টিং হচ্ছে এই ইঞ্জিনের। বেজোস জানিয়েছেন, হাই-পারফরম্যান্স লিকুইড হাইড্রোজেন সম্পন্ন এই লুনার ল্যান্ডিং ইঞ্জিন ১০ হাজার LBF শক্তিতে থ্রাস্ট দিতে পারে এই রকেট।
আরও পড়ুন: মঙ্গলের মাটির তলায় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল, বিজ্ঞানীদের চাঞ্চল্যকর দাবিতে আলোড়ন বিশ্বজুড়ে

সংবাদসংস্থা CNN-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নাসার তরফ থেকে ব্লু অরিজিন (Blue Origin) সংস্থার কথা জানানো হয়। ওই সংস্থা যে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার মিশনে মহাকাশযানের ল্যান্ডার তৈরি করতে চলেছে, সেকথাও জানানো হয়। এই আর্টেমিস (Artemis) প্রোগ্রামের অধীনেই, ২০২৪ সালের মধ্যে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৬৩ সালে মহাকাশে প্রথমবার মহিলা মহাকাশচারী পাঠায় রাশিয়া। রাশিয়া থেকে ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভাকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।
https://www.instagram.com/p/CIYGjZqHVWi/?utm_source=ig_web_copy_link