Mysepik Webdesk: মঙ্গলবার সকালবেলা হটাৎ করে এক ব্যাক্তি হাজির হয়ে যান টালিগঞ্জ থানায়। হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢোকা ব্যক্তিকে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন কোনও বিপদে পড়ে সাহায্য চাইতে এসেছেন। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকদের তিনি যা জানালেন, তাতে উল্টে পুলিশকর্মীদেরই বিপদে পড়ার মতো অবস্থা। তিনি জানালেন, “আমি করোনা আক্রান্ত। আমি একাই থাকি। আমার পরিবারে আর কেউ নেই। আমাকে প্লিজ একটু হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিন।” সঙ্গে অবশ্য তিনি তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসেননি।
আরও পড়ুন: পতঞ্জলিকে করোনার ওষুধ সম্পর্কে আরও তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার টালিগঞ্জ থানার ওই ঘটনায় মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না কোনও পুলিশকর্মী। ওই ব্যক্তির কথা শুনে সবাই যতটা পেরেছেন নিরাপদ দূরে সরে গেছেন। পুলিশকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তবে কিছুটা সময় পরে সবাই কিছুটা ধাতস্থ হলে ওই ব্যক্তিকে গ্যারাজের পাশে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর গাছতলায় বসিয়ে খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সকে। অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো পর্যন্ত গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স এলে তাঁকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয় চিকিৎসাকেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বহু জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান, প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
জানা গেছে, ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি ল্যাব থেকে নিজেই করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন। ল্যাব থেকেই ওই ব্যক্তিকে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। নিজের অসহায়তার কথা ল্যাব কর্তৃপক্ষকে জানালে ল্যাব কর্তৃপক্ষ তাঁকে সোজা হাসপাতালে যেতে বললেও তিনি প্রথমে বাড়ি এসে পরে টালিগঞ্জ থানায় গিয়ে হাজির হন। ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠিয়ে তড়িঘড়ি করে গোটা থানা স্যানিটাইজ করা হয়। যেহেতু কোনও পুলিশকর্মী তাঁর সংস্পর্শে আসেননি, সেহেতু কাউকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় নি।