ট্রেনে করেই শিলিগুড়ি থেকে এবার সরাসরি সিকিম, অপেক্ষা মাত্র তিন বছরের

Mysepik Webdesk: সড়কপথ আগেই ছিল, সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্যাক ইয়ং এয়ারপোর্টের মাধ্যমে সিকিমে সঙ্গে আকাশপথের যোগাযোগও স্থাপন হয়েছে। এবার রেলপথেও শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে থেকে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিমে। জোরকদমে চলছে রেল লাইন পাতার কাজ। রেল মন্ত্রী থাকাকালীন মমতা ব্যানার্জী ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। সেবক রোড থেকে রাংপো পর্যন্ত মোট ৩৮.৫৫ কিলোমিটার দূরত্বের ওই রাস্তার মধ্যে ৩.৪১ কিলোমিটার রাস্তা সিকিমের অন্তর্গত আর বাকিটা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই পড়ছে।
আরও পড়ুন: দলিত নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দীর্ঘদিন ধরে জমিজটের কারণে কাজ আটকে থাকলেও ফের নতুন করে জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। ভ্রমণপিপাসু বাঙালিদের জন্য সুখবর, আর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত নতুন রেলপথ। তারপর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, মোট ৩৮.৫৫ কিলোমিটার যাত্রাপথে থাকছে চোদ্দটি টানেল এবং উনিশটি রেলব্রিজ। ৫টি ডিভিশনাল জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রেলপথ।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে বস্ত্র বিতরন শিক্ষিকা প্রতিভা গাঙ্গুলীর

সূত্রের খবর, ওই রুটের বেশিরভাগ রাস্তাই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাবে। পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে মোট ১৪ টি টানেল তৈরি করে হয়েছে। এর মধ্যে তারখোলার কাছে সবথেকে বড় টানেলটি ৫ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা। সবচেয়ে ছোট টানেল ৫৩৮ মিটার। সেবক থেকে রাংপো পর্যন্ত মোট পাঁচটি স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। স্টেশনগুলি হল যথাক্রমে সেবক, রিয়াং, তিস্তা, মল্লি এবং শেষ স্টেশন রাংপো। পশ্চিমবঙ্গের অংশে থাকছে সেবক, রেয়াং ও তিস্তা বাজার স্টেশন। বাকীগুলি পড়ছে সিকিমে। টানেলের ভেতরে কংক্রিটের আস্তরণ বানাতে সুইডেন থেকে আনা হয়েছে বিশেষ যন্ত্র। রেল মন্ত্রকের দাবি, শিলিগুড়ি-সিকিমের মধ্যে রেল যোগাযোগ শুরু হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পর্যটনেরও প্রসারও বাড়বে।